এসময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সাফ ফুটবলে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল রানার আপ হয়ে দেশকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। দেশের ফুটবলের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি একটি দারুণ সাফল্য।
সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মোঃ সালাহউদ্দিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন মহি, সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। আর সাফ নারী ফুটবল দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র অতিরিক্ত পরিচালক এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কাজী মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সাফের এবারের আসরে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে যাইনি। কারণ আমাদের এই দলটির বেশিরভাগ প্লেয়ারই অনূর্ধ্ব-১৬ দলের। তবে এবার চ্যাম্পিয়ন না হলেও ২০২০ এর সাফে আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। আর সেই লক্ষ্যেই আমরা আমাদের এই তারুণ্য নির্ভর নারী দলটিকে গড়ে তুলছি। ’
নিজের বক্তব্য শেষে সালাহউদ্দিন মঞ্চে ডেকে আনেন নারী ফুটবলের দলপতি সাবিনা খাতুনকে। ডেকে এনে গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তাকে বক্তব্য রাখতে বললে সাবিনা জানান, ‘সাফের গ্রপ পর্বে আমাদের দলটি মোটেও সহজ ছিল না। ফলে আমাদের লক্ষ্য ছিল সেমিফাইনাল। কিন্তু আমরা আমাদের আপ্রাণ চেষ্টা ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রতিটি ম্যাচ খেলেছি বলেই ফাইনালে উঠতে পেরেছি। ’
অনুষ্ঠানের শেষে পুরস্কার হিসেবে দলের প্রতিটি সদস্য ও অফিসিয়ালদের ওয়ালটনের পক্ষ থেকে ৩২ ইঞ্চি এলইডি টেলিভিশন তুলে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য সদ্য সমাপ্ত সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬-০ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠে সেমিফাইনালে। আর সেমিফাইনালের ম্যাচে মালদ্বীপের মেয়েদের ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করে প্রথমবারের মতো সাফ ফাইনালে উঠে রচনা করে বাংলাদেশ নারী ফুটবলের নতুন ইতিহাস।
তবে শিরোপা জেতা হয়নি সাবিনাদের। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে লাল-সবুজের প্রমীলা দল ৩-১ গোলের ব্যবধানে হেরে যায় শক্তিশালী স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ১২ জানুয়ারি ২০১৭
এইচএল/এমআরপি