ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

অযত্ন-অবহেলায় বাফুফের টার্ফ

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭
অযত্ন-অবহেলায় বাফুফের টার্ফ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে রয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবন সংলগ্ন অনুশীলন মাঠের টার্ফ। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ফিফার অর্থায়নে নির্মিত অত্যাধুনিক টার্ফটি। বাফুফের দাবি, এখনও খেলার উপযোগী আছে টার্ফ।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাফুফের ভবন সংলগ্ন টার্ফটি কালো-সবুজ রঙ ধারণ করেছে। জায়গায় জায়গায় টার্ফ খুলে গিয়েছে।

কয়েক জায়গায় টার্ফের সবুজ স্তর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আবার কিছু স্থানে কৃত্রিম ঘাস উঠে গিয়ে টার্ফের ধূসর স্তর দেখা যাচ্ছে। কৃত্রিম সবুজ ঘাস কমে যাওয়ায় টার্ফের নিচের কালো পাথরগুলো জেগে উঠেছে।  

উল্লেখ্য, গোল প্রজেক্ট-১-এর আওতায় ২০০০ সালে মতিঝিলে বাফুফে ভবন নির্মাণ হয়। গোল প্রজেক্ট ২-এ প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার ব্যয়ে বাফুফে ভবন সংলগ্ন মাঠে কৃত্রিম ঘাসের মাঠ স্থাপন করে দেয় ফিফা। ছয়-সাত বছর আগে এ ধরনের টার্ফ বরিশালে স্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সময়মতো মাঠ বা জমি বরাদ্দ দিতে না পারায় ফিফার টার্ফ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। তবে অনেক ঝামেলার পর দেশের প্রথম টার্ফ স্থাপন করা হয় বাফুফে ভবন সংলগ্ন আরামবাগ বালুর মাঠে ২০১১ সালে।

তবে টার্ফ মান নিয়ে সন্তুষ্ট বাফুফের গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বাবুল। তিনি বাংলানিউজকে জানান, ‘এটা এখনও ভালো আছে, মেয়াদ আছে। খেলার উপযোগী আছে। ফিফার অর্থায়নে এটি নির্মিত হয়েছে। ’

তবে সংস্কার জরুরি বলে মনে করেন তিনি, ‘সংস্কার কাজ জরুরি। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই টার্ফের উন্নয়নের কাজে হাত দেয়া হবে। ফিফার কাছে চিঠি পাঠানো হবে। পরে ফিফার নির্দেশনা মোতাবেক উন্নয়ন কাজ শুরু করবো। ’
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমএর রক্ষণাবেক্ষণেও কার্পণ্য দেখা গেছে। ফুটবল ফেডারেশনের এই টার্ফে পাড়ার ছেলেদের খেলতে দেখা গেছে। বাফুফের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কীভাবে ঢুকলো জানতে চাইলে খেলতে আসা ছেলেরা জানায়, দেয়াল টপকে এসেছি। স্কুলের বন্ধুরা মিলে খেলছি। প্রায় দেড় ঘণ্টা খেলার পর রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী এসে তাদের বের করে দেয়।    

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান জানান, এই টার্ফে খেলার নিয়ম নেই স্থানীয়দের। তবে কেউ চিঠি দিয়ে সময় চাইলে আমরা তাদেরকে খেলতে দেই। এজন্য তাদেরকে আবেদন করতে হয়।

স্থানীয় আরামবাগের ছেলেরা, বাফুফের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলসহ জাতীয় পুরুষ ও মহিলা দলগুলো এই টার্ফে সময় ভাগ করে অনুশীলন করে থাকে। এজন্য ফেডারেশন থেকে সময়ভাগ করে দিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জাতীয় মহিলা দল এখন দেশের বাইরে। পুরুষ দলের ক্যাম্পেইন চলছে সাভারের বিকেএসপিতে।  

কয়েক সপ্তাহ থেকে দেশের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলের ক্যাম্পেইন হয়েছে এই টার্ফে। তাই এর পরিচর্যার প্রয়োজন। এজন্য দরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।