ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা সাফ ফুটবল!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা সাফ ফুটবল! ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা সাফ ফুটবল!

প্রায় দেড় বছর আগে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজনের জন্য বাংলাদেশকে নির্বাচন করা হয়েছিল। ২০১৭ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার এই ‘জায়ান্ট’ ইভেন্ট করার কথা ছিল বাংলাদেশের। কয়েকধাপে পিছিয়ে সেটা এ বছরের ডিসেম্বরে নিয়েছে বাফুফে। আবার পেছানোর গুঞ্জন চাউর হয়েছে।

এ বছর না হয়ে আগামী বছরের মে মাসে হতে পারে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ১২তম আসর। অন্তত দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সেক্রেটারি আনোয়ারুল হক হেলাল তেমনই ঈঙ্গিত দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘চলতি বছরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। পরের বছর মে মাসের দিকে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ’

তবে এখানেও কথা আছে। এই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে ভারত। তারা নিজেরাই চাচ্ছে না এ বছর সাফ ফুটবল হোক।

তাছাড়া চ্যাম্পিয়নশিপের পৃষ্ঠপোষকতাও আসবে এই ভারত থেকেই। দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে ভারতের কয়েক দফায় আলোচনাও হয়েছে। ফেডারেশনও চাচ্ছে, ভারতের টাইড শিডিউলের মধ্যে সাফ মাঠে না গড়াক।

অন্যদিকে থিম্পুতে ভুটানের কাছে লজ্জার হারের পর এ বছর আন্তর্জাতিক বা প্রীতি ম্যাচশূন্য হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। আশার যা একটু ছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ। দুটিই পেছাচ্ছে। এতে করে নতুন করে এ বছর আর কোনো ম্যাচ খেলা হচ্ছে না লাল-সবুজ জার্সিধারীদের!

এদিকে নবাগত কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ডের লক্ষ্য সাফ গেমসে সাফল্য নিয়ে আসা। যদিও গত তিন আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। আর শিরোপা খরাতো সেই ১৪ বছরের। সেই ২০০৩ সালে সর্বশেষ শিরোপা ঘরে তুলেছিল। এরপরের আসরে অবশ্য রানারআপ হয়েছিল। তারপর বাংলাদেশকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সার্কভুক্ত আট দেশ নিয়ে আয়োজনটি সম্পন্ন করার প্রাথমিক চিন্তা করেছিল বাফুফে। তবে, সমস্যাও আছে। আফগানিস্তান ২০০৫ সালে সার্কভুক্ত হয়ে টুর্নামেন্টে অংশ নিলেও পরে সাফ থেকে বাইরে চলে গেছে। হয়তো যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এই দেশকে ফেরাতে দক্ষিণ এশিয়ান ফেডারেশন চেষ্টা চালাবে। বিশেষভাবে নিমন্ত্রণ পাঠাবে। অন্যদিকে পাকিস্তান নিয়েও প্রচুর সমস্যা। পাকিস্তানের অংশ নেয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে। কারণ সে দেশের আদালত পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের সব কর্মকাণ্ড স্থগিত ঘোষণা করেছে। এমনকি ফেডারেশনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও জব্দ করা হয়েছে। মামলার সঙ্গে আবার জড়িয়ে পড়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের নিকটাত্মীয়। অন্যদিকে পাকিস্তানের ফুটবলেরই তো বেহাল অবস্থা। সেজন্য মে মাসের  মধ্যে এই ইনজেকশন জারির প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নেই বলে সাফে পাকিস্তানের অংশ নেওয়া অনিশ্চিত।

এ ব্যাপারে হেলাল জানালেন, পাকিস্তান যদি আদালতের নিষেধাজ্ঞায় অংশ নিতে না পারে, তাহলে আমাদের কিছু করার থাকবে না।

ফেডারেশন চাচ্ছে, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসর মে’র ১-১২ তারিখের মধ্যে মাঠে গড়াক। এতে করে ধোঁয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে সাফের ১২তম আসর। এতে আরেক ধাপ অপেক্ষা বাড়ছে দেশের ফুটবল প্রেমীদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, ২৩ জুন, ২০১৭
জেএইচ/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।