ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

মেসির আর্জেন্টিনাকে চায় না ম্যারাডোনার ভক্তরা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৭
মেসির আর্জেন্টিনাকে চায় না ম্যারাডোনার ভক্তরা ছবি: সংগৃহীত

আর্জেন্টিনার ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ মূলপর্বে খেলা এখন অনেকটাই কঠিন। ১১ অক্টোবর বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে তারা মাঠে নামবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে। বিশ্বকাপ আশা বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচে জয়ের কোন বিকল্প নেই মেসি বাহিনীর। তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচের দিকেও।

বাঁচা-মরার এই ম্যাচের আগে বিস্ফোরক মন্তব্যই করলেন ১৯৭৮ সালে বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলের স্ট্রাইকার মারিও কেম্পেস। তার মতে, মেসিকে যেমন অনেকে ম্যারাডোনার পর্যায়ে দেখেন, তেমনি এনিয়ে দ্বিমত পোষণ করা লোকের সংখ্যাও কম নয়।

ম্যারাডোনা ভক্তরাই চায় মেসির আর্জেন্টিনা যেন বিশ্বকাপে উঠতে না পারে।

বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে মেসির আর্জেন্টিনা। সরাসরি বিশ্বকাপে যেতে চার নম্বরে থাকতে হবে। আর পাঁচে থাকতে পারলে উতরে যেতে হবে প্লে-অফের ম্যাচ।

মেসি ভক্তরা চাইছে ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলুক তাদের প্রিয় তারকা। এই বিশ্বকাপে অংশ নিলে সেটা হবে মেসির চতুর্থ বিশ্বকাপ। ম্যারাডোনাও বিশ্বকাপ খেলেছেন চারবার, শিরোপা জিতেছেন একবার। মেসি এবার সুযোগ না পেলে পরের বিশ্বকাপে খেলার কোনো সুযোগই থাকছে না। তাতে, ম্যারাডোনার থেকে একটি বিশ্বকাপে কম খেলেই অবসর নিতে হবে। আর এই বিশ্বকাপে খেলতে পারলে মেসি যদি শিরোপা জেতেন তাহলে ম্যারাডোনার সঙ্গী হবেন। আর জিততে না পারলে ম্যারাডোনাই এগিয়ে থাকবেন।

কেম্পেসের মতে, ‘আর্জেন্টিনা ও মেসিকে ছাড়া বিশ্বকাপ হবে বিপর্যয়। মেসি বিশ্বকাপে যেতে না পারলে কেবল তারাই খুশি হবে যারা ম্যারাডোনা ভক্ত। কারণ তারা বলতে পারবে, এই দু’জনের মাঝে ম্যারাডোনাই সেরা। ’

তিনি আরও জানান, ‘মেসিদের সমস্যা মানসিক, আমি এমন কথার কোনো অর্থ খুঁজে পাই না। ছেলেদের অভিজ্ঞতা নেই এবং প্রথমবার তারা দলে এসেছে, এমনটা হলে বিশ্বাস করতাম মানসিক সমস্যা আছে। কিন্তু সেই সমস্যা একদমই নেই। ’

মেসির পাশে গত ম্যাচে তরুণ তারকা জুভেন্টাসের পাওলো দিবালাকে খেলায়নি আর্জেন্টিনার কোচ জর্জ সাম্পাওলি। কেম্পেসের মতে বুধবার ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনার নতুন কোচ সাম্পাওলিরও অনেক কিছু প্রমাণ করতে হবে। তিনি যোগ করেন, ‘সবাই বলেছিল সাম্পাওলি আর্জেন্টিনার ত্রাণকর্তা। এটা প্রমাণ করার জন্য তার হাতে এখনও ৯০ মিনিট সময় আছে। দিবালা সত্যিই দারুণ একটা কথা বলেছে। মেসির পাশে খেলা অনেক কঠিন। একমাত্র নির্বোধরাই এই কথার অন্য মানে দাঁড় করায়। ’

গত ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে টেনে তুলেছিলেন মেসি। জার্মানির কাছে শিরোপা হারাতে হয়েছিল আর্জেন্টাইনদের। এরপর কোপা আমেরিকার ফাইনালেও উঠেছিল মেসি বাহিনী। স্বাগতিক চিলির কাছে সেবার হেরে রানার্সআপ হতে হয় ম্যারাডোনার উত্তরসূরিদের। কোপা আমেরিকার শতবর্ষী আসরেও ফাইনালে ওঠেছিল মেসির দল। সেবারও সেই চিলির বিপক্ষে হেরে হতাশ হতে হয় মেসিকে। সে সময় চিলির কোচ ছিলেন এই সাম্পাওলি। হতাশা থেকে মেসি জাতীয় দলকে বিদায় জানান। পরে জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়া সে সময়কার কোচ এদগার্দো বাউজা মেসিকে অনেক বুঝিয়ে আবারো জাতীয় দলে ফেরান।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, ৯ অক্টোবর ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।