বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পর রাশিয়ার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে যায় গতবারের রানার্সআপরা। প্রথমটিতে স্বাগতিকদের ১-০ ব্যবধানে হারায় আলবিসেলেস্তেরা।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে দলকে বিশ্বকাপে তোলেন মেসি। এরপর প্রথমবার প্রীতি ম্যাচ ট্যুর দিয়ে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৮ ওয়ার্ল্ডকাপের আয়োজক রাশিয়া সফর করে জর্জ সাম্পাওলির শিষ্যরা।
মেসির অনুপস্থিতিতে যেন বাছাইপর্বের বাজে অবস্থার পুনরাবৃত্তি টানলো দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা! প্রত্যাশিত জয়ের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ লাতিন আমেরিকান পরাশক্তিরা। কোচ সাম্পাওলির ওপরও চাপটা বেড়ে গেল।
উত্তরসূরিদের এমন পারফরম্যান্সে হতাশ ৫৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনা। নিজের অফিসিয়াল ইন্সটাগ্রাম পেজে সাবেক কোচদের সফলতার চিত্র হিসেবে তুলনামূলক পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন ৮৬’অর বিশ্বকাপ জয়ী। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ১৯৭০ সালের পর থেকে কোচদের মধ্যে জয়ের হারের দক্ষতায় তার সময়টাতেই সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছে আর্জেন্টিনা।
ছবির ক্যাপশনে ম্যারাডোনা লেখেন, ‘কে বেশি জিতেছে? আসুন আমাদের উপসংহার টানা যাক। আমি পাগল কারণ তারা আমাদের প্রতিপত্তি দূরে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু খেলোয়াড়রা এর জন্য দায়ী নয়। আমি ফিরতে চাই !!!’
ম্যারাডোনার পোস্ট করা গ্রাফিক টেবিল অনুযায়ী, তার দক্ষতা সবার চেয়ে বেশি শতকরা ৭৫ ভাগ। ২০০৮-১০ পর্যন্ত কোচ থাকাকালে তার অধীনে ২৪ ম্যাচে ১৮টি জয় ও ছয় ম্যাচে হার মানে আর্জেন্টিনা। ২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে হারের পর তার জাতীয় দলের কোচিং অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে।
এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন জেরার্ডো মার্টিনো, তার অর্জন ২৯ ম্যাচে ৭৪ ভাগ সাফল্য। এর পরে আছেন ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের রানারআপ আলেসান্দ্রো সাবেলা (৪১ ম্যাচে ৭১), আলফিও বাসিলে ও মার্সেলো বিয়েলসা। দু’জনই যথাক্রমে ৪৮ ও ৬৮ ম্যাচে সমান ৭০ শতাংশ দক্ষতা অর্জন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, ১৫ নভেম্বর, ২০১৭
এমআরএম