১৯৯৮ সালে গ্যালাকটিকোদের ইউরোপিয়ান মুকুট জেতানো ইয়ুপ হেইঙ্কেসের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিতে পারে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। সাম্প্রতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসজিকে হারিয়ে রিয়াল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারবে বলে আত্মবিশ্বাসী বায়ার্ন মিউনিখ কোচ।
ঘরোয়া লিগে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে রিয়াল। শীর্ষস্থানধারী বার্সেলোনার চেয়ে ১৯ পয়েন্ট পিছিয়ে। তাই অনেকেই চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতেই লস ব্লাঙ্কসদের বিদায় দেখে ফেলেছেন।
কোচ জিদানের ওপরও চাপ বেড়ে গেছে। ইউরোপিয়ান সাফল্য তাদের একমাত্র সুযোগ মৌসুমটি স্মরণীয় করে রাখার। লক্ষ্য পূরণ হলেই হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের ইতিহাস গড়বে মাদ্রিদের পরাশক্তিরা। ইতোমধ্যেই কোপা দেল রের কোয়ার্টার থেকে বিদায়ের তিক্ত স্বাদ পেয়েছেন রোনালদো-বেল-বেনজেমারা।
রিয়ালকে এক বছর (১৯৯৭-৯৮) কোচিং করিয়েই চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছিলেন গত বছরের অক্টোবরে চতুর্থ মেয়াদে বায়ার্নের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া হেইঙ্কেস। সেবার লা লিগায় পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থ স্থানে থেকেও ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরে বাজিমাত করেছিল হেইঙ্কেসের রিয়াল।
৭২ বছর বয়সী হেইঙ্কেসের দৃঢ় বিশ্বাস, নেইমার ও তার দলকে হারানোর সামর্থ রাখে বর্তমান রিয়াল টিম, ‘এই মুহূর্তে লিগে খারাপ সময় যাচ্ছে মাদ্রিদের। আমার মতামত খুবই স্বাভাবিক, বিশেষ করে যদি তুমি দু’বার চ্যাম্পিয়নস লিগ ও স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন হও। চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের নাম মুছে ফেলতে পারবেন না আপনি। পিএসজির চেয়ে তাদের অনেক বেশি অভিজ্ঞতা। অনেক বেশি! আমার বিশ্বাস তারা এই লড়াইটা জিতবে। ’
‘ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য তাদের একটি ভালো টিম রয়েছে। আমি কোচ থাকার সময় যখন ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিলাম, চতুর্থ হয়ে লিগ সিজন শেষ করেছিলাম। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, মাদ্রিদকে অবমূল্যায়ন করার কোনো সুযোগ নেই। ’-যোগ করেন হেইঙ্কেস।
গত বছর কয়েকজন মেধাবী খেলোয়াড়দের ছেড়ে দেওয়ার কথাও তুলে ধরেন হেইঙ্কেস। সেই অভাব পূরণ না হওয়াটাও রিয়ালের বর্তমান অবস্থার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন তিনি। তার কথায় ‘গত সামারে রিয়াল বেতনের অর্থ বাঁচাতে আলভারো মোরাতা, পেপে ও জেমস রদ্রিগেজের মতো খেলোয়াড় ছেড়ে দিয়েছে। তারা কোনো বড় খেলোয়াড় কেনেনি, ভেবেছিল তরুণরা সেই অভাবটা পুষিয়ে দেবে। আপনাকে অবশ্যই তরুণ ও সিনিয়রদের সমন্বয় করতে হবে, অভিজ্ঞ ও ক্ষুধার্ত খেলোয়াড়দের মধ্যে। ’
গ্রুপ পর্বে একই গ্রুপে (‘বি’) ছিল পিএসজি ও বায়ার্ন। মুখোমুখি লড়াইয়ে দু’দলই জয় তুলে নেয়। প্যারিসে ৩-০ গোলের লজ্জার পর অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় (৩-১) মধুর প্রতিশোধই নেয় বাভারিয়ানরা। পাঁচ জয় ও ১ হারে সমান ১৫ পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে থেকে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে পিএসজি।
শেষ ষোলোতে প্রথমে পিএসজিকে আতিথ্য দেবে রিয়াল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আগামী বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বহুল প্রতিক্ষীত হাইভোল্টেজ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত পৌনে ২টায়। প্যারিসে একই সময়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নির্ধারণী ফিরতি পর্বের ম্যাচ ৬ মার্চ। বায়ার্নের প্রতিপক্ষ বেসিকতাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এমআরএম