শেষ ষোলোর ফিরতি পর্বের ম্যাচে জোড়া গোল ও আরেকটি করিয়ে বার্সাকে ৩-০ ব্যবধানের জয় এনে দেন মেসি। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ (প্রথম লেগ ১-১) অ্যাগ্রিগেটে দাপটের সঙ্গেই কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
পুরো আলোটা কেড়ে নেন মেসি একাই। চ্যাম্পিয়নস লিগে গোলের সেঞ্চুরি পূর্ণ করে সতীর্থদের উদযাপনের মধ্যমণি বনে যান আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। স্পর্শ করেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। তবে রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ আইকনকে এক দিক থেকে বেশ পেছনে ফেলেছেন মেসি।
ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরে শততম গোল করার দৌড়ে মেসি অনেক বেশি দ্রুততম। ১২৩তম চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচে এই অনন্য চূড়ায় পৌঁছান তিনি। সমান পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী রোনালদোর (১৩৭) চেয়ে ১৪ ম্যাচ কম খেলে।
গোলস্কোরিং রেসে সবদিক থেকেই রোনালদোর চেয়ে এগিয়ে মেসি। ১৭৫৮ মিনিট ও ২৬৬টি কম শট খেলেই তিন অঙ্কের ঘরে প্রবেশ করেছেন। বয়সের দিক দিয়েও অনেক পিছিয়ে সিআর সেভেন। মেসি যেখানে ৩০ বছর ২৬৩ দিনের মাথায় ১০০ গোল করলেন, রোনালদো সেখানে সবার আগে অবিস্মরণীয় কীর্তিটি গড়েন ৩২ বছর ৭২ দিন বয়সে।
কিন্তু মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলস্কোরারকে ছুঁতে হলে আরও দ্রুতবেগে এগোতে হবে মেসিকে! রোনালদোর নামের পাশে যে ১১৭টি গোল।
মাইলফলক গড়ার ম্যাচে ক্লাব ও আর্জেন্টিনা ক্যারিয়ারে দ্রুততম গোলের রেকর্ড গড়েন মেসি। খেলা শুরুর তিন মিনিটেই গোলপোস্টের ডান কোনা থেকে আড়াআড়ি শটে লক্ষ্যভেদ করেন। ম্যাচে এতো কম সময়ের আর কখনোই জালের দেখা পাননি ম্যারাডোনার উত্তরসূরি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৩ মিনিটে বাম পাশ থেকে মাটি কামড়ানো শটে কাঙ্ক্ষিত গোল উদযাপনে মাতেন মেসি। এবারও গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার দু’পায়ের ফাঁক গলে বল জালে জড়ায়। এর আগে ২০ মিনিটে মেসির পাস থেকেই ডান পায়ের বুলেট গতির স্ট্রাইকে বার্সায় ১২তম ম্যাচে এসে প্রথম গোলের দেখা পান উঠতি ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড ওসমান ডেম্বেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ১৫ মার্চ, ২০১৮
এমআরএম