বুধবার (১২ এপ্রিল) শেষ আটের ফিরতি লেগে ৩-১ গোলে হেরেও দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ এ এগিয়ে গেছে জিনেদিন জিদানের দল।
রোমায় উদ্বুদ্ধ জুভেন্টাস এদিন ঘরের মাঠের হারের প্রতিশোধ নিতেই যেনো নেমেছিলো।
প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ওঠা স্বাগতিকরা জুভিদের ডিফেন্স ভেদ করে দশম মিনিটে প্রথম সুযোগ তৈরি করে। তবে গ্যারেথ বেলের ব্যাকহিল অল্পের জন্য লাগে পাশের জালে লাগে। তিন মিনিট পর ইসকো বল জালে পাঠান; কিন্তু তা অফসাইডের ফাঁদে পড়ে।
খেলার প্রথম ৩০ মিনিটে একের পর এক আক্রমণে রিয়ালের খেলোয়াড়দের ব্যস্ত রাখে জুভেন্টাসের আক্রমণভাগ। তাতে এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিলো রোনালদো, বেলরা বুঝি মাঠে অনুপস্থিত। আর সুযোগ পেয়ে ৩৭ মিনিটে রিয়ালের জালে আবারো বল জড়ান মানজুকিচ। ক্রোয়েশিয়ান ফরোয়ার্ডের এই গোলে দুই লেগ মিলিয়ে এক গোল পিছিয়ে জুভেন্টাস।
৪৫ মিনিটে ভারানের লাফিয়ে ওঠা হেড গোলাবারে লক্ষ্য না হলে এগিয়ে যায় রিয়াল। খেলার এ অবস্থায় মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় দু’দল।
প্রথমার্ধের এমন পরিণতি মেনে নিতে পারছিলেন না জিদান। তাই দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গ্যারেথ বেল ও কাসেমিরোর বদলি নামেন লুকাস ভাসকেস ও মার্কো আসেনসিও।
ঘুরে দাঁড়ানোর ষোলো কলা যেনো পূর্ণ হয় ৬০ মিনিটে। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার দগলাস কস্তার ক্রস হাতে আসলেও তা ধরে রাখতে পারেননি নাভাস। হাত ফসকে বেরিয়ে যাওয়া বল গোলমুখে পেয়ে আলতো করে জালে ঠেলে দেন ফরাসি মিডফিল্ডার ব্লেইস মাতুইদি। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন তখন ৩-৩।
অন্তত এক গোলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত এমন পরিসংখ্যানে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে রিয়াল। আর ৯০ মিনিটে সে সুযোগ চলে আসে জিদানের শিষ্যদের সামনে। ডিবক্সে পাওয়া বল দখলে নিতে বেনিতিয়া সামনে থাকা ভাজকুইজকে পেছন থেকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান ইংলিশ রেফারি মাইকেল অলিভার। এ পর্যায়ে রেফারির সঙ্গে অসাদাচারণ করে লালকার্ড হজম করতে হয় জুভেন্টাসের গোলরক্ষক বুফনকে। পরবর্তীতে রেফারির এ সিদ্ধান্ত যথার্থ ছিলো বলে জানান ভাষ্যকাররা।
পেনাল্টির সুযোগ পেয়ে তা কোনোভাবে হাতছাড়া করেননি রোনালদো। স্পটকিকে ডানপাশে উঁচিয়ে জোরালো শট রিয়াল শিবিরে স্বস্তি এনে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
জেডএস