রোববারের (০৬ মে) এল ক্লাসিকোতে খেলার মধ্যভাগে গোড়ালির ইনজুরির কারণে রোনালদোকে উঠিয়ে নেন জিদান। বার্সার বিপক্ষে সমতাসূচক গোল করার পরই গোড়ালির ব্যাথায় কাতরাতে থাকেন সিআর সেভেন।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় সামান্য পা মচকানো ছাড়া তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি রোনালদোর। তাই আত্মবিশ্বাসী জিদান দাবি করলেন ‘চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে সামর্থ্যের ১৫০ ভাগ দিবেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো’।
জিদানের জন্য স্বস্তির খবর দিয়ে এরইমধ্যে সোমবার (৭ মে) মাদ্রিদের ট্রেনিং সেশনে হাজির হন দলের সবচেয়ে বড় তারকা। অনুশীলনের মাধ্যমে ইনজুরি সারিয়ে তোলার জন্য ঘাম ঝরাতেও দেখা গেছে তাকে।
পর্তুগিজ তারকাকে নিয়ে নিশ্চিন্ত জিদান কিয়েভের ফাইনালের আগেই ইনজুরির কারণে দলের বাইরে থাকা দানি কারবাহাল ও ইসকোর ফিরে আসা নিয়েও নিশ্চিত করেছেন।
জিদান বলেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো, ইসকো, কারবাহাল- সবাই ফাইনালের জন্য প্রস্তুত থাকবে। ক্রিস্টিয়ানোকে নিয়ে দীর্ঘদিনের জন্য দলের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হলেও সুখবর হচ্ছে এখন সে ঠিক আছে, স্বাভাবিকভাবেই হাটছে সে’।
এরপরই রিয়াল কোচের আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণ, ‘ফাইনালের জন্য কারও কোনো অসুবিধা হবেনা। সবাই ১৫০ পারসেন্ট অবস্থায় থাকবে। ‘
পুনর্বাসনে থাকা পর্তুগিজ তারকা বুধবার (৯ মে) লা লিগায় সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারবেন না এটা নিশ্চিত। পরের সপ্তাহে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষেও তাকে পাওয়া যাবেনা। তবে লস ব্লাংকোসদের লা লিগায় মৌসুমের শেষ ম্যাচে ভিলারিয়ালের বিপক্ষে তাকে দলে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী জিদান।
রোনালদোর অনুপস্থিতিতে সর্বোচ্চ গোলের পিচিচি পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে আরও এগিয়ে যাবেন বার্সা তারকা মেসি। সর্বোচ্চ গোলের দৌড়ে মেসির চেয়ে ৮ গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে আছেন রোনালদো। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল জিততে পারলে সেই দুঃখ ভোলার সুযোগ থাকবে পর্তুগিজ তারকার জন্য।
১৯৯২-৯৩ মৌসুমে চালু হওয়ার পর প্রথম দল হিসেবে টানা তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে রিয়াল মাদ্রিদ। সর্বশেষ টানা তিনবার ইউরোপিয়ান কাপের (চ্যাম্পিয়নস লিগের আগের ভার্সন) শিরোপা জেতার রেকর্ড গড়েছিলো জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ (১৯৭৪-৭৬)।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৮
এমএইচএম/এসএইচ