রোববার লা লিগায় এইবারের বিপক্ষে ২-২ গোলের ড্র দিয়ে শেষ করলেন অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের ক্যারিয়ার। যদিও ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে শুধু মাদ্রিদের হয়েই খেলেননি।
মাদ্রিদের হয়ে বিদায়টাও বেশ হয়েছে তোরেসের। দলের দুই গোলের দুটোই তিনি করেছেন। প্রথম গোলের পর তার চিরাচরিত হাঁটুতে স্লাইড করে জার্সির লোগোতে চুমু খাওয়ার দৃশ্য আবারও দেখলো সমর্থকরা। তবে দ্বিতীয় গোলের পর বিজ্ঞাপন বোর্ডের উপর ঝাপিয়ে পড়েন। এমনকি সমর্থকদের আকর্ষণ করার জন্য একদম গ্যালারির কাছাকাছি চলে যান। ক্লাবের সমর্থকদের তার ভালোবাসাটা প্রকাশ করতে কার্পণ্য করেননি।
ম্যাচ শেষে অশ্রুসিক্ত নয়নে তোরেস বলেন, ‘আমি আমার দাদাকে ধন্যবাদ দিতে চাই। তিনি আমাকে আমার শৈশবেই অনেক বড় একটা উপহার দিয়েছেন। তিনি আমাকে অ্যাতলেটিকো ভক্ত বানিয়েছেন। এই দলের জার্সিতে খেলা আমার জন্য অনেক বড় একটি সম্মান। ’
৩৪ বছরের এই স্ট্রাইকার অ্যাতলেটিকোর হয়ে প্রথমবারে ২৪৪ ম্যাচে ৯১টি গোল করেন। ২০০৭ সালে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লিভারপুলে যোগ দেন। লিগে এই দলের হয়ে ১৪২ ম্যাচে করেন ৮১টি গোল। ২০১০-১১ মৌসুমে চেলসিতে যোগ দিয়ে অবশ্য সময়টা তেমন ভালো কাটেনি তোরেসের। ২০১৪-১৫ মৌসুম পর্যন্ত খেলে ১৭২ ম্যাচ খেলে করেছেন মাত্র ৪৫টি গোল। সে মৌসুমেই লোনে কিছু দিন খেলেছেন এসি মিলানের হয়ে।
এরপর আবারও ফেরেন নিজের শৈশবের ক্লাবে। তবে প্রথমে কিছুদিন খেলেন ধারে। এরপর অবশ্য অ্যাতলেটিকো তাকে আবার কিনে নেয়। সেই ক্লাবের হয়েই শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন এই স্পেনের ফুটবলার। শেষবারে ১৬০ ম্যাচে করেছেন ৩৮ গোল।
ফিফার প্রকাশিত ২০০৮ ও ২০০৯ সালের সেরা একাদশে জায়গা করে নেওয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন এই ফুটবলার ক্লাবের হয়ে জিতেছেন এফএ কাপ ও উয়েফা চ্যাম্পিয়নশিপের মতো শিরোপা।
দেশের হয়েও তার অর্জন কম নয়। ২০০৩ সালে স্পেনের হয়ে অভিষেক হওয়া তোরেস দেশের হয়ে এখন পর্যন্ত তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। স্পেনের হয়ে ছয়টি বড় ফুটবল আসরে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। খেলেছেন ২০১৪ বিশ্বকাপেও।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪, মে ২১, ২০১৮
এমকেএম/এমএমএস