বার্সেলোনায় কুতিনহোর আগমন হয়েছিলো আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার বিকল্প ভেবেই। আর তাতে বেশ সফল এই তারকা।
২৫ বছর বয়সী কুতিনহো বল থ্রোয়িং, ড্রিবলিং, লং শট, ফ্রি কিকে দারুণ শক্তিশালী। তাছাড়া পাসিং, ক্রসিং আর বল ধরে রাখায় তার দক্ষতা বেশ ভাল। একটাই দুর্বলতা ট্যাকলিংয়ে। তা এটাকে একজন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের জন্য ঠিক দুর্বলতা বলা যায় না। ইনিয়েস্তারও একই দুর্বলতা ছিল। আর বাকি সব বিষয়ে ইনিয়েস্তার চেয়ে খুব বেশি পিছিয়ে নেই কুতিনহো।
বিদায়ী মৌসুমে কুতিনহো একাদশে সুযোগ পেয়েছেন ১৭ বার এবং বদলি হিসেবে নেমেছেন ৫ ম্যাচে। গোল করেছেন ১০টি। অ্যাসিস্ট ৫টি। গোলসংখ্যার দিক থেকে ইনিয়েস্তাকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন কুতিনহো। ৩০ ম্যাচে একাদশে আর ৫ ম্যাচে বদলি হিসেবে নেমে ইনিয়েস্তার গোল মাত্র ২টি। অ্যাসিস্ট ৪টি।
বার্সায় বুসকেটস, রাকিটিচের মতো প্রতিভা আছে, কিন্তু গোল করার সক্ষমতা তাদের চেয়ে কুতিনহোর অনেক বেশি। সর্বশেষ সেস ফ্যাব্রিগাস ছিলেন যার পা থেকে এক মৌসুমে ১০ বা তার অধিক গোল এসেছিলো। ২০১৩-১৪ মৌসুমে ফ্যাব্রিগাস ১৩ গোল করেছিলেন।
ফ্যাব্রিগাসের পর প্রায় ৩ বছর পর গোল করার সামর্থ্যের অধিকারী একজন মিডফিল্ডার পেয়েছে বার্সা যে শুধু গোল বানিয়েই দিতে পারেন না বরং সুযোগ বুঝে গোলও করতে পারেন। বার্সার হয়ে ৬৭৪ ম্যাচ খেলা ইনিয়েস্তা নিশ্চয়ই তার উত্তরসূরিকে নিয়ে নিশ্চিত হয়েই ক্যাম্প ন্যু ছাড়লেন।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১৬৩১ ঘণ্টা, ২২ মে, ২০১৮
এমএইচএম/এমএমএস