চলতি মৌসুমে সব মিলিয়ে ৪০ গোল করেছেন সালাহ, যার ১০টিই আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। এমন দুর্দান্ত ফর্মের সালাহ’কে তাই রিয়ালের টানা তৃতীয় ইউরোপ সেরার মুকুট জয়ের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা ধরা হচ্ছে।
জিনেদিন জিদানের শিষ্যদের জন্য টানা তিন শিরোপা জয়ে প্রথম হুমকি ছিলেন প্যারিস সেইন্ট-জার্মেই বা পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়র। শেষ ষোলো পর্যন্ত পিএসজির দৌড় ভালোই চলছিলো। কিন্তু রিয়ালের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়েই আসল পার্থক্য বের হয়ে আসে।
প্রথম লেগের ম্যাচে ৩-১ গোলের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন নেইমাররা। গোল না পেলেও সেই ম্যাচে রিয়ালের রক্ষণকে ভালোই ভুগিয়েছিলেন এই তারকা ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয় লেগের আগেই মার্শেই মিডফিল্ডার বোউনা সারের ট্যাকলে ছিটকে পড়েন নেইমার। এরপর থেকে মাঠের বাইরে তিনি। তার অনুপস্থিতিতে নিজেদের শহর থেকেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সফর শেষ করে উনাই এমেরির শিষ্যরা।
এরপর রিয়ালের সামনে হাজির হয় ইতালির চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস। ‘তুরিনের বুড়ি’দের বড় তারকা পাওলো দিবালা কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ইনজুরিতে পড়েন। ফিরতি লেগও মিস করেন এই আর্জেন্টাইন।
সেমিফাইনালে রিয়ালের জন্য চিন্তার কারণ ছিলেন বায়ার্ন মিউনিখ তারকা রবার্ট লেভানডোভস্কি। প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতে রিয়াল। দ্বিতীয় লেগে ২-২ গোলে ড্র হওয়ার পর দুই লিগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে জিতে ফাইনালে উঠে রিয়াল মাদ্রিদ। দুই ম্যাচেই গোল করতে ব্যর্থ হন পোলিশ তারকা লেভানডোভস্কি। রিয়ালের মূল তারকা রোনালদোও থাকেন গোলশূন্য। তবে যাকে নিয়ে রিয়ালের দুশ্চিন্তা ছিল সেই লেভানডোভস্কিকে আটকে রাখতে সক্ষম হন রামোসরা।
আগের তিন হুমকি বেশ ভালভাবেই সামলেছে রিয়ালের রক্ষণভাগ। তাদের জ্বলে উঠা রিয়ালের সর্বনাশের কারণ হতে পারতো। এখন ফাইনালে রিয়ালের সামনে একমাত্র সালাহ হুমকি হয়ে আছেন। ইংলিশ ফুটবলে রীতিমত ঝড়ের মতো হাজির হয়ে পুরো বাজিমাত করে দিয়েছেন এই মিশরীয় তারকা। আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। রিয়ালের জন্য শেষ ‘হুমকি’ তাই সালাহই।
লিভারপুলের শুধু সালাহ নয় আছেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সাদিও মানে ও রবার্তো ফিরমিনোও। রিয়ালের বিবিসি’র জবাবে লিভারপুলের ‘এসএমআর’। জমজমাট ফাইনালের অপেক্ষায় কিয়েভ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৬ ঘণ্টা, ২২ মে, ২০১৮
এমএইচএম/আরআর