চলতি মে মাসের ১৬ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে মুসলমানদের পবিত্র মাস রমজান। রমজানের মধ্যেই আগামী ২৬ তারিখে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল।
লিভারপুলের বহুল প্রত্যাশিত ইউরোপ সেরার মুকুট যার খেলার উপর অনেকাংশে নির্ভর করছে সেই সালাহ জানিয়েছেন, ফাইনালে রোজা রেখেই খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি। তবে রোজা রাখায় তার শারীরিক সামর্থ্য সংশয়ে পড়তে পারে ভক্ত-সমর্থকদের এমন দুশ্চিন্তার জবাবে তিনি জানিয়ে দিলেন রোববারের ফাইনালে রোজা রেখে খেলায় তার পারফরম্যান্সে কোন অসুবিধা হবেনা।
ইংলিশ ক্লাব ফুটবলে বহু মুসলিম খেলোয়াড় রয়েছেন। এক লিভারপুলেই আছেন সেনেগালের সাদিও মানে। আর্সেনালে আছেন জার্মান তারকা মেসুত ওজিল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আছেন পল পগবা। এই মুসলিম ফুটবলারদের ধর্মভীরুতা সম্পর্কে সবাই ওয়াকিবহাল।
লেগানেসের মরক্কান ফুটবলার নাবিল এল জাহর মনে করেন, রোজা রাখায় তার অনুশীলনে বাড়তি সুবিধা হয়। এতে তিনি ‘ভিতর থেকে পরিচ্ছন্ন’ বোধ করেন।
তবে সালাহর সিদ্ধান্তের সমালোচনা হচ্ছে না তা নয়। পুষ্টিবিদ জেসুস মুনোজ যেমন দাবি করলেন, যদিও তারা (রোজাদার ফুটবলার) পরিচ্ছন্ন বোধ করে, তবে শারীরিক শ্রমের ক্ষেত্রে তারা পিছিয়ে পড়ে। '
সালাহর সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি সে (সালাহ) পুরোপুরি রোজা রাখে, তাহলে খেলায় তার প্রভাব পড়বেই। '
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ২৪ মে ২০১৮
এমএইচএম