ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুলের আক্রমণভাগে মোহাম্মদ সালাহ ও রবার্তো ফিরমিনোর পাশাপাশি অন্যতম সেরা অস্ত্র সাদিও মানে। প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন তিনি।
২০০৫ সালে ঠিক এমন এক পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন ১৩ বছর বয়সী মানে। সেবার পুরো গ্রামের মানুষ লিভারপুল-এসি মিলানের ফাইনাল দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলো। মানে নিজেও তাদের একজন ছিলেন। আর এবার ২৬ বছর বয়সী তারকা নিজেই লিভারপুলের অন্যতম সেরা তারকা। তার গ্রামে এখন উৎসবের আমেজ। হবেই না বা কেন?
আফ্রিকার এক প্রত্যন্ত গ্রামে বেড়ে উঠেছেন সাদিও মানে। তার পরিবার আজও সেখানে থাকে। সেই প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে আজ ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরের তারকা। বিজয়ীর বেশে খুব শীঘ্রই সেখানে ফিরতে চান তিনি।
সাদিও মানে বলেন, ‘আপনি যদি বলেন আমি ফাইনালে খেলছি, তাহলে আমি বলবো এটা আমার জীবনের এক অসাধারণ অধ্যায়। আশা করি আমরা (ফাইনালে) জিতবো। '
তিনি আরও বলেন, ‘আমার পরিবার এখনো ওই গ্রামে (বাম্বালি) বাস করে। আমার মা, চাচা। তারা সবাই খেলা দেখবেন। আমার গ্রামের লোকসংখ্যা ২০০০। আমি ৩০০টি লিভারপুলের জার্সি কিনে সেখানকার ভক্তদের জন্য পাঠিয়েছি, যাতে তারা ফাইনাল ম্যাচ দেখার সময় সেগুলো পরিধান করতে পারে। '
২০০৫ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল ম্যাচের স্মৃতি এখনও মানের মনে আছে, যে ম্যাচে এসি মিলানের বিপক্ষে লিভারপুল শুরুতে ৩ গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েও ৩-৩ স্কোরে নির্ধারিত সময় পার করে করে।
মানে বলেন, ‘আমার মনে আছে এসি মিলান-লিভারপুল ম্যাচের কথা। ৩-০ তে লিভারপুলের পিছিয়ে পড়া, তারপর ৩-৩ এবং পেনাল্টি। আমি গ্রামে সবার সাথে খেলা দেখেছিলাম। যদিও আমি সেই ম্যাচে লিভারপুলের সাপোর্ট করতাম না। আমি ছিলাম বার্সাভক্ত। '
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, ২৫ মে, ২০১৮
এমএইচএম