বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে গত শনিবার জিডিটি করা হয়েছে বলে জানান ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৩১ মে) জিডির বিষয়ে মাধুরী রায় জানান, গত বছর বাদল রায় প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আসেন।
সাধারণ ডায়েরিতে মাধুরী রায় উল্লেখ করেন, “মার্চের ২৬ তারিখ বেলা ৩টায় আবু নাঈম সোহাগ মোবাইল ফোনে আমাকে হুমকির স্বরে বলেন, বাদল রায় যেন ফেডারেশনে না আসেন। আমি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তিনি যদি আসেনও, তাহলে এসে এক কাপ চা খেয়ে চলে যাবেন, এর বেশি নয়। আমার স্বামী তিন তিনবারের ফুটবলে ফেডারেশনের নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় এ ধরনের ফোন আমার কাছে হুমকি ও বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের আভাস বলে মনে হয়। তাই আমার স্বামীর সম্মান ও জীবনের ব্যাপারে আতঙ্কে আছি। ”
মাধুরী রায় বাংলানিউজকে বলেন, “মার্চের শেষের দিকে একবার সোহাগ ফোনে আমার কাছে অভিযোগ করেন, বাদল নাকি ফেডারেশনে গিয়ে সবার সঙ্গে এবং পিয়ন-কর্মচারীদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করে। ওনার এগুলোর দরকার কী! তিনি অসুস্থ, ফেডারেশনে আসবেন, বসবেন, চা খাবেন এবং গল্পগুজব করে চলে যাবেন। এসব করতে গিয়ে যদি তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন তবে কে তাকে আম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাবে?”
আক্ষেপের সুরে মাধুরী রায় বলেন, যেহেতু বাদল ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান, সে কারণে বাফুফের বিভিন্ন কাজের ত্রুটি নিয়ে তিনি কথা বলতে চান। কিন্তু সে তো ফুটবল ফেডারেশনে চা খাওয়ার জন্য যায় না। সে সারাটা জীবন ফুটবলের পেছনে ব্যয় করেছে। এমনকি ফুটবলের কারণে বাদল সংসারেও ঠিক মতো সময় দেয়নি। তো ফুটবলের কোনো জায়গায় কোনো সমস্যা হলে সেগুলো নিয়ে তো সে কথা বলবেই। আর কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ সে করতে পারে না। আমি এটা বিশ্বাস করি না। কারণ, সে এত ছোট মনমানসিকতার মানুষ নয়। পরে আমি সোহাগকে বলি, সোহাগ তুমি একটা কাজ কর, তুমি সালাউদ্দিন ভাইকে বলো, তিনি তো বাদলের বড়। তিনি কোনো সমস্যা মনে হলে সেটা নিয়ে বাদলকে ডেকে কথা বলুক। ”
এরপর আমি নিজেই চলতি মাসের ২৬ তারিখ বাফুফে সভাপতিকে ফোন করি এ বিষয়ে কথা বলার জন্য। সালাউদ্দিন ভাই নিজেও সোহাগের কথাগুলোই আমাকে বলেন। তিনি আরও বলেন, ফুটবল ফেডারেশনের কেউই এখন আর তার সঙ্গে নেই। ফুটবল ফেডারেশনে গেলে বাদল যদি অসুস্থ হয়ে যায়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য কাউকে পাবে না। তার জীবনটাই নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়বে। সালাউদ্দিন ভাইয়ের এসব কথা আমার ভারো লাগেনি। পরে ওয়ারী থানায় গিয়ে আমি জিডি করি, যোগ করেন মাধুরী রায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৮
পিএম/এমজেএফ