সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ আসরে আফ্রিকা থেকে অংশ নেয় মিশর, মরক্কো, তিউনিসিয়া, নাইজেরিয়া ও সেনেগাল। প্রত্যেক দলের মিশন শেষ হয় গ্রুপ পর্বেই।
এবারের ব্যর্থতা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে এই পাঁচ দলের কোচ ও বোর্ডের কর্মকর্তারা কনফেডারেশন অব আফ্রিকান ফুটবল এবং মরক্কান ফুটবল ফেডারেশনের আয়োজনে মরক্কোর রাবাতে আয়োজিত সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। আগামী রোববার (২২ জুলাই) এবং সোমবার (২৩ জুলাই) আয়োজিত হবে সম্মেলনটি।
সম্মেলনে অংশ নিতে আসা সাবেক নাইজেরিয়ান ফুটবলার ইমানুয়েল আমুনাইকি বলেন, ‘এটা আফ্রিকান দল এবং আফ্রিকা মহাদেশের জন্য হতাশাজনক। বহু মানুষ আফ্রিকান দলগুলোর কাছে পূর্বের সাফল্য ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা বাস্তবায়িত হয়নি’।
বিশ্বকাপে ফিফার টেকনিক্যাল স্টাডি গ্রুপ অ্যানালাইসিসের একজন সদস্য ছিলেন আমিনাইকি। ফলে খুব কাছ থেকে আফ্রিকান দলগুলোর সাফল্য-ব্যর্থতা প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি। ফুটবল যে আগের চেয়ে অনেক পাল্টে গেছে সেই বিষয়টিও উঠে এসেছে তার কথায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি ফুটবল অনেক উন্নত হয়েছে এবং এই পরিবর্তন চলতেই থাকবে। আমরা আফ্রিকাতে যদি দায়িত্ববোধ না দেখাতে পারি এবং আমাদের তরুণদের তুলে আনতে না পারি, তাহলে আমাদের স্বপ্ন দেখেই কাটাতে হবে’।
‘আমাদের অনেক তরুণ প্রতিভা আছে, কিন্তু তাদের সঠিক পরিচর্যা না করলে আপনাকে কোনো ফল দেবে না। ’
আফ্রিকার কোনো দল শেষ ষোলোতে উঠতে না পারা নিয়ে ফিফাও চিন্তিত বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সভাপতি জিয়ান্নি ইনাফান্তিনোও। এই বিষয়ে ফিফার বড় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যেও আলোচনা হয়েছে।
ফিফা সভাপতি মস্কোয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিশ্বকাপের মতো আসরে গ্রুপ পর্ব পার হতে হলে কিছুটা ভাগ্যের প্রয়োজন হয়। সেনেগাল, মরক্কো এবং নাইজেরিয়া খুব ভালো ফুটবল খেলেছে। কিন্তু গ্রুপ পর্বেই তাদের বিদায় নেওয়াটা চিন্তার বিষয়। এই বিষয়ে আমরা কনফেডারেশন অব আফ্রিকান ফুটবলের (সিএএফ) প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি’।
আফ্রিকান দেশ হিসেবে ১৯৩৪ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নেয় মিশর। তারপর ১৯৭০ সালে থেকে নিয়মিতই বিশ্বকাপে আফ্রিকান প্রতিনিধিত্ব চলে আসছে। ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ৬টি আফ্রিকান দেশ অংশ নেয়।
কিন্তু কোনো দলই শেষ চার অর্থাৎ সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি। এ পর্যন্ত ১৯৯০ সালে ক্যামেরুন, ২০০২ সালে সেনেগাল, ২০১০ সালে ঘানা কোয়ার্টার ফাইনালের গণ্ডি পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, ২১ জুলাই, ২০১৮
এমএইচএম/এনএইচটি