ঠিক এই কাজটাই করেছে স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা। তবে তা বাস্তবে নয়।
একাদশের গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগা। অ্যাতলেটিক বিলবাও থেকে ৮০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তাকে দলে ভিড়িয়েছে চেলসি। এই ট্রান্সফার ফি তাকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষকের খেতাব এনে দিয়েছে।
রক্ষণে ম্যানচেস্টার সিটির রাইট-ব্যাক কাইলি ওয়াকার এবং লেফট-ব্যাক বেনিয়ামিন মেন্দি। এই দুজনের মূল্য গড়ে ৫৭ মিলিয়ন ইউরো। সেন্টার-ব্যাক হিসেবে থাকবেন ম্যানসিটির ডিফেন্ডার আয়মেরিক লাপোর্তে (৬৫ মিলিয়ন ইউরো) এবং লিভারপুলের ভার্গিল ভ্যান ডিক (৮৫ মিলিয়ন ইউরো)।
মিডফিল্ডে থাকছেন ১৬০ মিলিয়ন ইউরোর ফিলিপ্পে কুতিনহো, ১২০ মিলিয়ন ইউরোর পল পগবা এবং ৮০ মিলিয়ন ইউরোর হামেস রদ্রিগেজ।
আক্রমণে প্রথম নামটি নেইমারের। বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় যার মূল্য ২২২ মিলিয়ন ইউরো তাকে দলে না রাখাটা হবে একাবারেই অযৌক্তিক। তার সঙ্গে থাকছেন তার পিএসজি সতীর্থ ও ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে, যার মূল্য ১২০ মিলিয়ন ইউরো।
একাদশের শেষ ও আক্রমণভাগের সবচেয়ে বড় তারকা জুভেন্টাসের পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, যার বর্তমান মূল্য ১১২ মিলিয়ন ইউরো।
সবমিলিয়ে একাদশটির মোট আর্থিক মূল্য দাঁড়ায় ১.১৫৬ বিলিয়ন ইউরো। অবিশ্বাস্য মূল্যের এই একাদশ বাস্তবে পাওয়া হয়তো অসম্ভব, তবু একবার ভেবে দেখুন এতো মুল্যবান একটা একাদশ যদি সত্যি সম্ভব হতো তাহলে আর্থিক দিক বিবেচনায় যেমন তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকত, তেমনি বিশ্বের অন্য যেকোনো দলের পক্ষে এদের টেক্কা দেওয়াও অসম্ভব হতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
এমএইচএম