ওজিলের বক্তব্যকে অনেকে সমর্থন করেছেন, আবার অনেকে উল্টো তাকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন। এবার সেই সমালোচকদের কাতারে যোগ দিলেন তারই জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ ও রিয়াল মাদ্রিদ তারকা টনি ক্রুস।
টনি ক্রুস বলেন, ‘তার (ওজিল) বক্তব্যের যে অংশে সে এই বিষয় (বর্ণবাদ) উল্লেখ করেছে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এটা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। ’
‘আমি মনে করি, সে জানে জার্মান দল কিংবা ফেডারেশন কোথাও বর্ণবাদের অস্তিত্ব নেই। ’
‘অন্যভাবে বললে, আমরা সবাই বৈচিত্র্যের পক্ষে থেকেছি এবং সে (ওজিল) নিজেই তার বড় উদাহরণ। ’
রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্যর্থতার চাপে তিনি নিজেও জাতীয় দল থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন বলে জানান ক্রুস।
‘বিশ্বকাপের আগে এবং এখনও আমি অনুভব করি যে, গত পাঁচ কিংবা ছয় বছরে একই লেভেল ধরে রাখার জন্য আমি যতোটা অবসর পেয়েছি তা যথেষ্ট নয়। ’
জার্মান জাতীয় দল ও জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার দায় তার উপর চাপানো আর বর্ণবাদী সমালোচনার কারণে ভীষণ অভিমানে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকেই অবসর নেন ওজিল।
তার্কিশ বংশোদ্ভুত ওজিল বিশ্বকাপ শুরুর আগে মে মাসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যব এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর তাদের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে অনলাইনে। সেটাকে ‘রাজনৈতিক সাক্ষাৎ’ আখ্যা দিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয় ওজিলের বিরুদ্ধে। তার মতে, ওই ঘটনার পর তাকে ‘বর্ণবাদ’ আর ‘অসম্মানজনক’ আচরণের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট রেইনহার্ড গ্রিন্দেলকে সরাসরি উদ্দেশ্য করে ওজিল লিখেছেন, ‘যাদের জাতিগত বৈষম্যমূলক অতীত রয়েছে তাদের হাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল ফেডারেশন, তাদের কাছে দ্বৈত-পরিচয়ের ফুটবলারদের দেখভালের এতো বিশাল দায়িত্ব অর্পণ করা ঠিক নয়। তাদের আচরণ তারা যাদের প্রতিনিধিত্ব করে তাদের প্রতিফলন করে না। গ্রিন্দেল আর তার সমর্থকদের চোখে, আমি যখন জয়ী হই তখন জার্মান আর যখন হেরে যাই তখন আমি শরণার্থী’।
এরপরই ওজিল লিখেছেন, ‘যখন আমি বৈষম্যবাদ আর অসম্মানিত বোধ করি তখনই ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলী মাথায় রেখে জার্মানির হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমি আর না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি জার্মানির জার্সি অনেক গর্ব আর উত্তেজনা নিয়ে গায়ে চড়িয়েছি। কিন্তু এখন আর চাই না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
এমএইচএম/এমএমএস