গত মে মাসে তুরস্কের জাতীয় নির্বাচনের আগে এরদোগানের লন্ডন সফরের সময় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তুর্কি বংশোদ্ভূত ওজিল ও গুন্দোগান। তাদের এই সাক্ষাৎ এমনই বিতর্কের জন্ম দেয় যে জার্মান দলের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিও এর আড়ালে ঢেকে যায়।
পরে রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে জার্মানির লজ্জাজনক বিদায়ের পর তার টার্কিশ পরিচয়ের জন্য ‘বর্ণবাদ’ আর ‘বৈষম্যবাদে’র শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলে জার্মান জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ওজিল।
জার্মান ফুটবলের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ২৯ বছর বয়সী ওজিলের অভিযোগকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিলেও ২০১৮-১৯ মৌসুমের শুরুতে এই ইস্যু বেশ বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
এই বিতর্কে এবার যোগ দিলেন লিভারপুলের কোচ ক্লপ। তিনি নিজেও একজন জার্মান এবং জার্মানির ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ থাকাকালে গুন্দোগানের কোচ ছিলেন। সম্প্রতি স্পোর্টস ওয়ানের সঙ্গে সাক্ষাতকারে এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন ক্লপ।
'এটা (বিতর্ক) একদম ভুল তথ্যে ভরা এক উদাহরণ এবং অবশ্যই বাজে কথা। '
'রাজনীতিতে ছোট বিষয়কে সবসময় বড় করে দেখা হয় এবং বিতর্ক চালিয়ে যেতে বড় বিষয়গুলো চেপে রাখা হয়। সাধারণত, বুদ্ধিমানরা বিষয়গুলো চেপে যায় কারণ, সত্য কথা বলা সবসময় সহজ নয়। আমি নিজেকেও তাদের একজন বলে মনে করি। এসব বিষয়ে যাদের জ্ঞান কম তারাই উচ্চস্বরে কথা বলে। '
'আমি ইলকেয় গুন্দোগানকে ভাল করে চিনি, আমি এমেরি কান এবং নুরি শাহিনকেও চিনি। আমি মেসুত ওজিলকে সেভাবে চিনি না, কিন্তু তাকে আমি আমার বাড়ি নিতে চাইব। আমি এই ছেলেদের অবিশ্বাস করিনা, অন্তত নিজ ভুমির প্রতি তাদের আনুগত্য নিয়ে আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই। '
'পার্থক্যটা হচ্ছে তাদের বাড়তি একটা পরিচয় আছে। এখানে সমস্যাটা কোথায়? এটাতো দারুণ ব্যাপার। '
'২০০৬ সালের বিশ্বকাপে এই সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য নিয়ে আমরা অনেক খুশি ছিলাম। এটা কতো দারুণ কাজ করে তা ভেবে এখন দীর্ঘশ্বাস ফেলি আমরা। এবং এখন একটা ছবি তোলার জন্য রাজনীতি সচেতন কিছু মানুষ কর্তৃক আক্রান্ত হচ্ছে দু'জন মানুষ। এরপর তারা কমই সুযোগ পেয়েছে সত্যটা বলার। '
'এজন্যই আমার কাছে এই আলোচনা ভণ্ডামিপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। খারাপ কিছু ঘটে তখনই যখন মানুষ সঠিক তথ্য না পায়। এমনকি মিডিয়ার প্রতিদিন এমন বিতর্ক তৈরি থেকে বিরত থাকা উচিত। শান্ত হোন এবং এর পেছনের মানুষদের দেখুন। '
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
এমএইচএম