২০১০ সালে লিভারপুলের সাবেক মালিক হিকস অ্যান্ড গিলেটের কাছ থেকে মালিকানা কিনে নেয় এফএসজি। ধুঁকতে থাকা লিভারপুলকে কিনতে ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয় তাদের।
যেসময় মালিকানা পরিবর্তন হয় সেসময় সাত ম্যাচে মাত্র ছয় পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের একদম নিচের সারিতে অবস্থান করছিল লিভারপুল। নতুন মালিক এসেই বিশাল বিনিয়োগ করে ক্লাবকে শীর্ষ পর্যায়ে খেলার উপযুক্ত করে তোলেন। ফলাফল, বর্তমানে লিগ টেবিলের দুইয়ে অবস্থান করছে ‘অলরেড’রা।
ব্রিটিশ পত্রিকা ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, আবুধাবিভিত্তিক ব্যবসায়ী শেখ খালেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান যিনি আবার ম্যানচেস্টার সিটির মালিক শেখ মনসুরের চাচাতো ভাই, ২০১৭ সালের শেষে এবং ২০১৮ সালের শুরুর দিকে বেশ কয়েকবার লিভারপুলের শতভাগ শেয়ার কেনার জন্য ২ বিলিয়ন পাউন্ডের অফার দিয়েছেন।
লিভারপুল খবরের সত্যতা নিশ্চিত করলেও এই বিশাল অঙ্কের অফার ক্লাবের দুই মালিক জন ডব্লিউ হেনরি ও মাইকেল গর্ডনের কাছে আকর্ষণীয় মনে না হওয়ায় তারা আলোচনায় বসতেও রাজি হননি। বরং লিভারপুলের মালিকপক্ষ থেকে শেখ খালেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, 'লিভারপুল বিক্রির জন্য নয়। '
তবে লিভারপুলে বিনিয়োগের দরজা সবসময় উন্মুক্ত রাখার ঘোষণাও দিয়েছেন লিভারপুলের দুই মালিক। এফএসজি এই মৌসুমে খেলোয়াড় কেনার জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করেছে। তাছাড়া ক্লাবের সফল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপকে ধরে রাখতেও বড় অঙ্কের অর্থ খরচ হয়েছে।
এফএসজি লিভারপুলের মালিকানা ধরে রাখার যে ঘোষণা দিয়েছে তা আদতেই দীর্ঘদিন ঠিক থাকবে কি না তা ভবিষ্যতে দেখা যাবে। তবে এটা একটা দারুণ ব্যাপার যে গত ৮ বছরে লিভারপুলের অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। যার মধ্যে তাদের বাজারমূল্য ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ড থেকে বেড়ে ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হওয়াও একটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৮
এমএইচএম