গত ১০ বছর সেরার এই পুরস্কারটা ভাগ করে নিয়েছেন মেসি আর রোনালদো। অথচ দু’জনের কেউই সোমবার লন্ডনে রয়্যাল ফেস্টিভ্যাল হল-এ ফিফার অনুষ্ঠানে লুকা মদ্রিচের সেরার পুরস্কার নেওয়া সরাসরি বসে দেখলেন না।
অবশ্য মেসি ফিফার অনুষ্ঠানে থাকবেন এবং সৌজন্যতাবোধে রোনালদোকে ছাপিয়ে যাবেন, এমনটি জানা গিয়েছিল। তবে বাস্তবে দেখা গেল শুধু রোনালদো নয়, ফিফার অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত মেসিও।
বার্সেলোনা ক্লাবের একটি সূত্র জানিয়েছিল, মেসির যাওয়া নিশ্চিত ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে লন্ডন যাত্রা বাতিল করেন। আর রোনালদো নাকি জুভেন্টাসে জানিয়েছেন, ঠাসা সূচির জন্য লন্ডন যাওয়ার ধকল নেওয়া তার পক্ষে সম্ভব হয়নি।
কিন্তু ফুটবলের জীবন্ত এই কিংবদন্তিদের এমন আচরণে হতাশ ফিফাও। ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ফুটবলকে অসম্মান করলেও সেটা বোঝার মতো অনুভূতি তাদের নেই। ’
ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সাবেক কিংবদন্তি ইতালী কোচ ফাবিও ক্যাপেলো যেমন বলেছেন, ‘হতে পারে ওরা অনেক পুরস্কার জিতেছে। হয়তো পুরস্কার না পাওয়াটা ওরা নিতে পারেনি। কিন্তু একজন সত্যিকারের মানুষকে জীবনে সব সময়ই একই রকম ভাল থাকতে হয়। পুরস্কার জিতলেও। না জিতলেও। ’
এদিকে এ বিষয়টিকে খুবই দুঃখজনক বলে জানান উরুগুয়ের সাবেক তারকা ফুটবলার ফোরলান, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। মেসি গত বছর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং জেতেননি। রোনালদোর ক্ষেত্রেও বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এখানে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের উপস্থিত থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। কে পুরস্কারটা জিতল, তা বড় নয়। একজন খেলোয়াড়কে সব সময় খেলোয়াড়ি মনোভাব দেখাতে হবে। কারণ তারা বিশ্বের জন্য মডেল। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
এমএমএস