এদিন খেলার দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৬০ মিনিটে লাওসের দুর্গে আঘাত করে বাংলাদেশ। প্রথম সুযোগে গোল না হলেও পাস থেকে গোলটি করেন ঘরের ছেলে বিপলু।
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধ যখন গোল শূন্য কাটে তখন খেলায় টান টান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শুরু হয় আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ। দ্বিতীয়ার্ধে একটি পাস থেকে বাংলাদেশের পক্ষে গোল করতে সুযোগ হাতছাড়া করেননি বিপলু। এরপরই পর পর দুটি আক্রমণ করলেও একটি গোল লাওসের কিপার পাসেতো’র দৃঢ়তা রক্ষা পায়।
খেলার প্রথমার্ধে নাবিব নেওয়াজ জীবন-সুফিল এবং রবিউল হাসান তিন স্ট্রাইকার নিয়ে জেমি ডে'র শুরুর লাইনআপ। কিক অফের পর থেকে স্বাগতিকদের দাপট। ডান প্রান্ত দিয়ে জীবন-বিপলু আক্রমণ করেছেন। কিন্তু পুরনো ব্যর্থতা কাটেনি এখনো। ৪৫ মিনিটের খেলায় গোলমুখ খুলতে পারেনি বাংলাদেশ। তিন স্ট্রাইকারের সঙ্গে বিপলু এবং জনি সাজিয়েছেন আক্রমণ।
ম্যাচের প্রথম কর্ণার আদায় করে গোল করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে সহজ সুযোগ মিস করেছেন জীবন ৩০ মিনিটে। কিপারের সামনে দাঁড়িয়ে বল তুলে দিয়েছেন পাসেতুর হাতে।
১৮ মিনিটে বক্সের বাইরে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে সহজ সুযোগ মিস করেছেন বিপলু। ২৪ মিনিটে তিনজনকে কাটিয়ে দর্শকদের হাততালি পেলেও দলকে গোল দিতে পারেননি বিপলু। সতীর্থ খেলোয়াড়দের পাস না দিয়ে সে যাত্রায় গোল বঞ্চিত করেন বাংলাদেশকে।
৩৩ মিনিটে ওয়ান টু ওয়ান পাসে বিপলু-সুফিল গোল পাননি। এই তো গেল বাংলাদেশের খবর। ১০ মিনিটে গোললাইনে বল জড়িয়েও গোল পায়নি লাওস। রানাকে ফাউল করায় সে যাত্রায় গোল বঞ্চিত লাওস।
৩৬ মিনিটে দুর্দান্ত গতিতে বুনোপানচিন পরাস্ত করেন বিশ্বনাথ ঘোষকে। শেষ পর্যন্ত গোল বঞ্চিত হন এই মিডফিল্ডার। গোলের সুযোগ তৈরি ও গোল মিসে প্রথমার্ধ শেষে গোল পায়নি কোন দল। গোলশূন্য ড্র'তে শেষ হয় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরুর ১৪ মিনিট পরই গোল পায় স্বাগতিক বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ০১ অক্টোবর, ২০১৮
এমএমএস