ইউরোপিয়ান সুপার লিগ চালু করতে এরইমধ্যে একমত হয়েছে ইউরোপের শীর্ষ লিগের ১৬টি ক্লাব। ২০২১ সাল থেকে শুরু হতে যাওয়া এই আসর চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতি ঘটাতে চলেছে বলে জানিয়েছে ফুটবল লিকস।
সুপার লিগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হচ্ছে- রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বায়ার্ন মিউনিখ, জুভেন্টাস, চেলসি, আর্সেনাল, প্যারিস সেইন্ট জার্মেই, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল এবং এসি মিলান। আর অতিথি ক্লাব হিসেবে যোগ দিচ্ছে- অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, মার্শেই, ইন্টার মিলান ও রোমা।
প্রথম ১৬ দল মিলে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এই দলগুলো আর চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে আগ্রহী নয়। তাদের মতে, সুপার লিগ ইউরোপিয়ান ফুটবলের ইতিহাস পাল্টে দেবে।
নতুন প্রতিযোগিতাটি দুটি পর্বে ভাগ করা হবে। প্রথমে গ্রুপ পর্বের খেলা আর এরপর হবে নকআউট পর্ব। এর বাইরে ইউরোপিয়ান সুপার লিগের একটি দ্বিতীয় বিভাগ থাকবে, যেখানে খেলে প্রথম বিভাগে উঠে আসার সুযোগ থাকবে।
মূলত আর্থিক চিন্তা থেকেই নতুন এই আসরের সূচনা ঘটতে চলেছে। এর মাধ্যমে শীর্ষ লিগগুলোর ক্লাবগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা। এই প্রতিযোগিতায় যারা নাম লেখাচ্ছে তারা অন্য যেকোনো প্রতিযোগিতার চেয়ে বেশি আয় করবে।
যদি ফাঁস করা তথ্য নিয়ে উয়েফা বেশি নাড়াচাড়া না করে তাহলে বড় দলগুলো ইউরোপিয়ান সুপার লিগের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানা গেছে।
ইউরোপিয়ান সুপার লিগে যারা খেলবে তারা উয়েফা থেকে আলাদা হয়ে যাবে। ফলে উয়েফার কর্তৃত্ব থেকে বাইরে চলে যাবে দলগুলো। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইউরোপের ছোট দলগুলো। এখন বড় দলগুলো বাদে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ আয়োজন করবে নাকি শক্ত অবস্থান নেবে তা সময়ই বলে দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৮
এমএইচএম/এমএমএস