শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) রাতে লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে উরুগুয়ের মুখোমুখি হয় ব্রাজিল। ম্যাচে দুই ক্লাব সতীর্থ দু’জনের প্রতিপক্ষ হিসেবে নামেন।
ম্যাচের একদম শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে গোল করেন নেইমার। ম্যাচে গোল হয়েছে ওই একটিই। এরপর হাতে সময় ছিল খুবই অল্প। নেইমার বল নিয়ে টাচলাইনের কাছে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু কাভানি কিছুটা বিগড়ে যান। মূলত হাতে সময় না থাকায় বল নিজের দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন কাভানি।
নেইমারের কারিকুরি কাভানির কাছে অসহ্য লাগছিল। তার কাছে এটা শুধুই সময় নষ্ট করার মতলব বলে মনে হচ্ছিল। রাগের বসে কড়া ট্যাকল করে বসলেন কাভানি। এজন্য তাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। সিদ্ধান্ত মানতে পারছিলেন না কাভানি।
কাভানি ইশারায় রেফারিকে বোঝাচ্ছিলেন নেইমার তার বিখ্যাত ‘ডাইভ’ দিয়ে ফাউল আদায় করে নিয়েছেন। তবে এরপর নেইমারের দিকে হ্যান্ডশেক করার জন্য হাত বাড়িয়ে দেন কাভানি। কিন্তু তাচ্ছিল্যের সঙ্গে হাত সরিয়ে নেন নেইমার।
এই ঘটনার ভিডিও এরইমধ্যে ছড়িয়ে গেছে সারা বিশ্বে। তাদের এমন কাণ্ড-কীর্তি নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন অনেকে। তবে কাভানি নিজে সবই অস্বীকার করছেন। শুধু তিনি একা নন, এই দুজনের ক্লাব সতীর্থ ও ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেও দাবি করেছেন, আন্তর্জাতিক বিরতির পর ক্লাবে ফিরলে সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে।
সম্প্রতি আরএমসি স্পোর্টসকে কাভানি বলেন, ‘ফুটবল মাঠে এমন ঘটনা স্বাভাবিক। কিন্তু এরপর আমরা বন্ধু, ভাই, সতীর্থ। ’
‘কিন্তু যখন ম্যাচ চলাকালে আমরা জিততে চাই এবং দলকে রক্ষা করতে চাই, এটা স্বাভাবিক।
‘আমি কিছুই করিনি, আমি তাকে ছুঁইওনি। আমি তাকে দেখতে গিয়েছিলাম এবং আমি তাকে বলেছিলাম যে তাকে ছুঁইনি। তাছাড়া আমি তার সঙ্গে যা করেছি তা অন্যদের সঙ্গেও করতাম। ’
‘এটা নিয়ে কথা বলার কিছু নেই, কিছুই হয়নি। এটা মিডিয়ার কারসাজি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৮
এমএইচএম/এমএমএস