প্রথম লেগে এই মস্কোর বিপক্ষে তাদের মাটিতেই ১-০ গোলে হেরেছিল গ্যালাকটিকোরা।
নকআউট পর্বে আগেই খেলা নিশ্চিত হওয়ায় রিয়ালের শুরুর একাদশে ছিলেন না গ্যারেথ বেল, লুকা মদ্রিচের মতো বড় কয়েকজন তারকা।
এদিন বল পজিশনে রিয়াল এগিয়ে থাকলেও অন টার্গেট শটে মস্কো ছিল বেশ কৌশুলী। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে প্রথম এগিয়ে যায় তারা। ফিওদোর চালোভের শটে লিড পায় দলটি।
প্রথম গোলের ধাক্কা সামলাতে না পারা রিয়াল ৬ মিনিট পরে আরও একটি গোল হজম করে। চালোভের শট থিবাউ কুরতোয়া ঝাপিয়ে পড়লেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। ফিরতি শটে গোল করেন শেন্নিকভ।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা ধরে রাখে মস্কোর এরই ফলে ৭৩ মিনিটে সোলারি শিষ্যদের হার নিশ্চিত করেন আর্নর সিগার্দসন।
নিজেদের ইতিহাসে ইউরোপিয়ান ফুটবলে ঘরের মাঠে রিয়ালের এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয়। আর গত এক দশকে প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে রিয়ালকে দুই লেগেই হারাল মস্কো। সবশেষ ২০০৮-০৯ মৌসুমে মাদ্রিদের ক্লাবটিকে এই তিক্ত স্বাদ দিয়েছিল জুভেন্টাস।
রিয়ালের বিপক্ষে দুই লেগে অসাধারণ জয়ের পরও এই লিগ থেকে ছিটকে পড়েছে রাশিয়ার ক্লাব মস্কো। আরেক ম্যাচে রোমাকে হারিয়ে অবনমন হয়ে ইউরোপা লিগে নেমে গেছে চেক রিপাবলিকের ক্লাব ভিক্তোরিয়া প্লজেন।
রিয়াল মাদ্রিদ ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে। শেষ ষোলোতে দলটির সঙ্গী রোমার পয়েন্ট ৯।
সিএসএকে মস্কো ও প্লজেনের পয়েন্ট সমান ৭। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে তৃতীয় হয়েছে প্লজেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
এমএমএস