ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

পেলের সমালোচনার ধার ধারি না: নেইমার

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
পেলের সমালোচনার ধার ধারি না: নেইমার পেলের সমালোচনার ধার ধারি না: নেইমার-ছবি: সংগৃহীত

এক বছরের অধিক সময় ধরে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার আলোচনা থেকে সমালোচনারই বেশি জন্ম দিয়েছেন। তিনি যেন খেলোয়াড়ী রণকৌশল ছেড়ে দিন দিন নাটুকে স্বভাবে পরিণত হচ্ছেন। আর এতেই তার ওপর খানিকটা চোটেছিলেন স্বদেশী কিংবদন্তি পেলে।

নেইমারের মাঠ ও মাঠের বাইরের এমন আচরণে সতর্ক করে পেলে জানিয়েছিলেন, এতে তরুণ এ তারকা নিজেকে হারিয়ে ফেলছেন। এছাড়া বিশ্ব ফুটবলে নিজেকে সেরা প্রমাণ করতেও ব্যর্থ হচ্ছেন।

তবে নেইমার স্রেফ জানিয়ে দিয়েছেন, পেলের সমালোচনার ধার ধারেন না তিনি।

এক সাক্ষাৎকারে নেইমার বলেন, ‘তুমি যদি জিততে না পারো, সমালোচনা আসবেই। আমি বিশ্বকাপের সময় কখনোই নাটুকেপনা দেখাইনি। আমি সেখানে ফাউলের শিকার হয়েছিলাম। সাম্প্রতিক সময়ে মানুষ এ নিয়ে অনেক আলোচনা করেছে, কেননা এটা নেইমার। আমি পেলের সমালোচনাকে সম্মান জানাই, তবে আমার কিছু যায় আসে না। ’

পেলে ও নেইমার ব্রাজিল দলের পাশাপাশি নিজ দেশের শীর্ষ ক্লাব সান্তোসের হয়ে খেলেছেন। ক্লাবটির হয়ে দু’জন সফলও হয়েছেন। যেখানে পেলে ছয়বার ব্রাজিলিয়ান টাইটেল ও দু’বার কোপা লিবার্তাদোসের জিতেছেন। আর ২০১১ সালে সান্তোস নেইমারের কল্যাণেই এই শিরোপা ঘরে তোলে।

পেলে অবশ্য নেইমারকে বিশ্বের সেরাদের একজন হিসেবেই মূল্যায়ন করেন। তবে বিশ্বাস করেন তাকে খেলায় আরও মনোযোগী হতে হবে ও নাটুকে স্বভাব পরিবর্তন করতে হবে।

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে পেলে বলেছিলেন, ‘আমি সবসময় বলেছি নেইমার একজন গ্রেট খেলোয়াড় হবে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কী ঘটছে? সে নিজেকে অন্য পথে পরিচালিত করছে, গোল করে নয় বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির দ্বারা, মাঠে ফাউলের ভান করছে, রেফারির সঙ্গে লাইভে বাকবিতাণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে তার ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ’

সেলেকাওদের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী আরও বলেন, ‘আমরা এক সঙ্গে বসে এই ব্যাপারে বহুবার আলোচনা করেছি। সে বিশ্বের সেরা একজন খেলোয়াড়। একজন বাবা সমালোচনা করে না, সে তার সন্তানকে শিক্ষা দেয়। আমি তাকে বলি সে আমাদের সন্তান, কেননা তাকে সান্তোসের ছেলে হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমি তাকে সাহায্য করার জন্য সবকিছু করবো। ’

বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, ২১ জানুয়ারি, ২০১৯
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।