ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

'প্রথম' হারের মুখ দেখলো রোনালদোবিহীন জুভেন্টাস

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
'প্রথম' হারের মুখ দেখলো রোনালদোবিহীন জুভেন্টাস রোনালদো নেই, হেরে গেলেন দিবালারা-ছবি: সংগৃহীত

এইতো সেদিন অ্যাথেলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে হ্যাটট্রিক করে জুভেন্টাসকে শেষ আটে তুলেছেন ক্রিটিয়ানো রোনালদো। অথচ প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল অ্যাথলেটিকোই। এমন অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সের পর সারা বিশ্বেই রোনালদোর প্রশংসার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে পর্তুগিজ উইঙ্গারের নতুন ঠিকানা ইতালিতে তার জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। তার এক ঝলক দেখা গেলো রোববার (১৭ মার্চ)।

পয়েন্ট টেবিলের ১২তম স্থানে থাকা জেনোয়ার মাঠে আতিথ্য নিয়েছে শীর্ষে থাকা জুভেন্টাস। কিন্তু ম্যাচে খেলছেন না ‘তুরিনের বুড়ি’দের প্রাণভোমরা রোনালদো।

আর তাতেই ক্ষেপেছে দর্শক। টেবিলের নিচে থাকা জেনোয়ার খেলা দেখতে কে যায়? পর্তুগিজ ফুটবল যুবরাজের খেলা দেখে তবেই না পয়সা উসুল। অথচ তারা জেনোয়ার সমর্থক। কিন্তু রোনালদো না মাঠে নামবেন না জেনে টিকিটের অর্থ ফেরত দিতে রীতিমত হট্টগোল বাধিয়ে বসেছিলেন তারা। তবে এ নিয়ে মাঠের মালিক জেনোয়া’র পক্ষ থেকে কিছুই বলা হয়নি।

তবে জেনোয়া’র ওই সমর্থকরা নিশ্চয় পরে হাসিমুখেই গ্যালারি ছেড়েছেন। কেননা, তাদের দাবি যদি জেনোয়া কর্তৃপক্ষ মেনে নিতো তাহলে ঘরের ক্লাবটির জয়ের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে হতো। রোনালদোবিহীন ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পাত্তাই দেয়নি জেনোয়া। হারিয়েছে ২-০ গোলে।

২০১৮-১৯ মৌসুমে এই প্রথম সিরি আ’র ম্যাচে হারের মুখ দেখলো জুভেন্টাস। তাদেরও হারানো সম্ভব ইতালির ক্লাবগুলো সেই স্বাদ প্রায় ভুলতেই বসেছিল। জেনোয়ার খেলা সবারই কেড়েছে। প্রথমার্ধে গোল না পেলেও মাঠের খেলায় স্পষ্ট এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরাই। প্রথমার্ধে একবার পেনাল্টিও পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ভিডিও রেফারি তা বাতিল করে দেয়।  

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেনান্টি পেয়ে গিয়েছিল জুভেন্টাসও। সানসেলোর কাটব্যাকে বল পেয়েছিলেন জুভেন্টাসের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালা। কিন্তু তাকে সেখানে ঠেকিয়ে দেন জেনোয়া গোলরক্ষক আন্দ্রে রাদো। ভিডিও রেফারির সহায়তা নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজানো থেকে বিরত থাকেন মাঠের রেফারি।  

প্রথম গোলের দেখা পেতে ৭২ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয় জেনোয়াকে। জুভেন্টাসেরই সাবেক তারকা স্টেফানো স্টুয়ারাও বদলি হিসেবে নেমেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। গোরান পান্দেভের কাছে থেকে বল পেয়ে ২০ গজ দূরে থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন স্টুয়ারাও।  

ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ান কাওয়ামি’র বাতাসে ভাসিয়ে দেওয়া পাস থেকে দারুণ দক্ষতায় শট নেন মেসিডোনিয়ান ফরোয়ার্ড গোরান পান্দেভ। ওই শট ঠেকানোর সামর্থ্য ছিল না জুভেন্টাসের গোলরক্ষক মাত্তিয়া পেরিনের। পুরো ম্যাচে খুঁজেই পাওয়া যায়নি জুভেন্টাসের আক্রমণভাগকে। পাওলো দিবালা আর মারিও মান্দজুকিচ কিছুতেই প্রতিপক্ষের গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না। পুরো ম্যাচেজুড়ে রোনালদোর অনুপস্থিতি বেশ ভালোই ভুগিয়েছে চ্যাম্পিয়নদের।

এই হারের পরও অবশ্য পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে বহাল তবিয়তেই আছে জুভদের হাতেই। ২৮ ম্যাচ শেষে ২৪ জয়, ৩ ড্র আর একমাত্র হার মিলিয়ে ৭৫ পয়েন্ট তাদের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নাপোলির পয়েন্ট ৫৭। ফলে শিরোপা একপ্রকার ঘরে নিয়ে রেখেছেন অ্যালেগ্রির শিষ্যরা। তাই দলের সেরা তারকাটিকে বসিয়ে রাখার বিলাসিতা করেছিলেন জুভেন্টাসের কোচ। তাতেই জয়ের ধারায় ছেঁদ।  

অন্যদিকে এই জয়েও অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি জেনোয়ার। আরেক ম্যাচে পার্মা জয়ী হওয়ায় সমান ৩৩ পয়েন্ট নিয়েও গোলও ব্যবধানে ১২তম স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাদের।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।