ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

কাতার বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হিসেবে কুয়েতকে চায় ফিফা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
কাতার বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হিসেবে কুয়েতকে চায় ফিফা কুয়েতের আমিরের সঙ্গে জিয়ান্নি ইনফান্তিনো-ছবি: সংগৃহীত

২০২২ সালে অনুষ্ঠেয় কাতার বিশ্বকাপ হবে ৪৮ দলের! সেই রাশিয়া বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর থেকেই এ কথা বলে আসছে ফিফা। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে রীতিমত উঠেপড়ে লেগেছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। যদিও আয়োজক কাতার এখনও নিমরাজি। কিন্তু ইনফান্তিনো নাছোড়বান্দা। কাতারের কাঁধ থেকে বোঝা কমাতে তিনি কুয়েতকে সহ-আয়োজক হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবু ৪৮ দলের বিশ্বকাপ তার চাই।

গত রোববার (১৪ এপ্রিল) কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-সাবাহ এবং দেশটির ক্রীড়া ফেডারেশন প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফিফা প্রেসিডেন্ট। তাছাড়া কুয়েতের জাতীয় সংসদের স্পিকার মারজুক আল-ঘানেম এবং দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি।

কুয়েতের সংবাদ মাধ্যম ‘কুনা’ এ তথ্য জানিয়েছে।  

সাক্ষাতের বিস্তারিত প্রকাশিত না হলেও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি, কাতার বিশ্বকাপকে সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই কুয়েত সফরে গিয়েছেন ইনফান্তিনো। মূলত বিশাল এই আয়োজনে কাতারের সঙ্গে শরিক হওয়ার প্রস্তাব দিতেই কুয়েতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন তিনি।

এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ৩২ থেকে বাড়িয়ে ৪৮ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত মাসে ফিফা’র সাধারণ সভায় ভোটাভুটিতে সিদ্ধান্ত হয় কাতার বিশ্বকাপ থেকেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের।

৪৮ দলের বিশ্বকাপ নিয়ে শুরুতে আগ্রহ দেখালেও সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই অনাগ্রহ দেখাচ্ছে কাতার। কারণ তাদের দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি ছিল ৩২ দলের। এখন এটা বাড়াতে হলে কাতারের একার পক্ষে আয়োজন অসম্ভব। ফলে কার্যত কাতারের ওপর এটা বাড়তি চাপ হয়ে দেখা দিয়েছে।

আগামী জুনে প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা’র মিটিংয়ে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে কাতারকে রাজি করানোর জন্য সব রকম চেষ্টাই অব্যাহত রেখেছেন ইনফান্তিনো। কিন্তু দলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া মানে বাড়তি ম্যাচ, বাড়তি সমর্থকের উপস্থিতি। সময়ও এখানে একটা চিন্তার বিষয়।

কাতারকে চাপমুক্ত করতে তাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ফিফা। কিন্তু কূটনৈতিক সমস্যা এক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতার অভুযোগ তুলে সৌদি আরবের নেতৃত্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর এবং বাহরাইন প্রায় ২ বছর ধরে কাতারকে একঘরে করে রেখেছে। যদিও কাতার বারবার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তরল প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানিকারক দেশ কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি মধ্যপ্রাচ্যের এমন দুই দেশ কুয়েত ও ওমান। এদের মধ্যে ওমান এরইমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে ২০২২ সালের বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হওয়ার মতো প্রস্তুতি নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। বাকি রইলো কুয়েত। এখন দেখা যাক কোথাকার জল কোথায় গিয়ে গড়ায়।

বাংলাদেশ সময় ১৭৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।