ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

লিভারপুলকে রোমাঞ্চকর লড়াই জেতালেন সালাহ-মানে

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৯
লিভারপুলকে রোমাঞ্চকর লড়াই জেতালেন সালাহ-মানে লিভারপুলের খেলোয়াড়দের উল্লাস

শক্তিমত্তার দিক থেকে রেড বুল সালসবুর্গ লিভারপুলের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে। কিন্তু এই ‘অখ্যাত’ ক্লাবই কাঁপিয়ে দিয়েছিল ‘অলরেডস’দের। বিশেষ করে প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও সমতায় ফেরা, তাও আবার অ্যানফিল্ডে! মোটেই সহজ কাজ নয়। তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের লজ্জায় পড়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন মোহামেদ সালাহ ও সাদিও মানে। এই দুজনের পাশাপাশি এক গোল করে ভূমিকা রেখেছেন অ্যান্ড্রু রবার্টসন। আর তাতেই রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।

বুধবার (২ অক্টোবর) দিনগত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচের শুরুটা ছিল শুধুই লিভারপুলময়। আর এই দাপুটের শুরুটা হয় সাদিও মানের পায়ে।

খেলার নবম মিনিটেই রবার্তো ফিরমিনো ও সাদিও মানের মিলিত আক্রমণে গোল হজম করে কোণঠাসা সালসবুর্গ। ডি-বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে ফিরমিনোর পাস থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন সেনেগালিজ স্ট্রাইকার।

২৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে লিভারপুল। হেন্ডারসনের বাড়িয়ে দেওয়া বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের দিকে ছুটতে থাকা অ্যান্ড্রু রবার্টসনকে খুঁজে নেন অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ড। পোস্টের কাছে পৌঁছে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন স্কটিশ ডিফেন্ডার। এরপর ৩৬তম মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন সালাহ। মানের বাড়িয়ে দেওয়া বলে ফ্লিক করেছিলেন ফিরমিনো। কিন্তু প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক শট ফিরিয়ে দিলে ফিরতি শটে খালি পোস্টে বল জালে জড়িয়ে দেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড।

ম্যাচে যখন স্বাগতিকদের একাধিপত্য, ঠিক তখন ব্যবধান কমানো শুরু করে সালসবুর্গ। ৩৯তম মিনিটে লিভারপুলের বিশ্বসেরা ডিফেন্ডার ফন ডাইককে বোকা বানিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে প্রথম গোলের দেখা পান সালসবুর্গের স্ট্রাইকার হুয়াং হি-চ্যান। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান আরও কমিয়ে আনে অস্ট্রিয়ান ক্লাবটি। ৫৬তম মিনিটে মিডফিল্ডার তাকুমি মিনামিনো আর ৬০তম মিনিটে আরেক স্ট্রাইকার এর্লিং ব্রাউটের গোলে খেলায় সমতা ফেরায় দলটি।

তিন গোলে এগিয়ে থেকেও ড্র অথবা হারের শঙ্কায় পড়ে যাওয়া লিভারপুলকে উদ্ধার করেন সালাহ। এবারও তাকে বল বানিয়ে দেন ফিরমিনো। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের আগ্রাসী ট্যাকল সামলে বক্সের কাছে বল উড়িয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ক্ষিপ্রতার সঙ্গে সুযোগ কাজে লাগিয়ে পেনাল্টি এরিয়া থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে পোস্টের বাঁ প্রান্তে বল জড়িয়ে দেন সালাহ। আর সেই সঙ্গে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে পুরো অ্যানফিল্ড। বাকি সময় আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ দেখা গেলেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই।

এই নিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ঘরের মাঠে টানা ১২ ম্যাচেই জয়ের দেখা পেল লিভারপুল। এর আগে ১৯৮৫ সালের এপ্রিল ও নভেম্বরে ঘরের মাঠে টানা ১৮ ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছিল দলটি।

অন্যদিকে রাতের অন্য ম্যাচে লিলের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে ইংলিশ জায়ান্ট চেলসি। আর গেঙ্কের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলি।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
এমএইচএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।