বাংলাদেশের ফুটবলে সাপে-নেউলে সম্পর্ক মোহামেডান-আবাহনীর। অবশ্য মোহামেডান কোয়ার্টার মুখোমুখি হয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ম্যাচের শুরু থেকে জামাল ভূঁইয়াদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে খেলতে থাকে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে রানার্সআপ হয়ে শেষ আটে ওঠা মোহামেডান।
অবশ্য ১২ মিনিটে রাকিব হোসেনের পাস থেকে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড চিনেদু ম্যাথিউ সুযোগ মিস না করলে এগিয়ে যেতে পারতো চট্টগ্রাম আবাহনী। সেই ভুলের মাশুল তারা দিল ২৫ মিনিটে। ডিফেন্ডার ইকবাল জনের অসাবধানতায় প্লেসিং শটে মোহামেডানকে এগিয়ে দেন শাহেদ হোসেন।
পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরতে চেষ্টা করে চট্টগ্রাম আবাহনী। কিন্তু ৩০ মিনিটে দ্বিতীয়বার পিছিয়ে পড়ে তারা। দুর্দান্ত শটে মোহামেডানে ব্যবধানটা ২-০ করেন মালি ফরোয়ার্ড সুলেমানে দিয়াবাতে।
এর ৮ মিনিট পর ব্যবধান কমানোর সুযোগ পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। কিন্তু চার্লস দিদিয়েরের শট রুখে দেন মোহামেডান গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহাল।
বিরতি থেকে ফিরে ফের ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পায় মোহামেডান। ৭৪ মিনিটে দিয়াবতের শটটিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলপোস্টে। শেষ পযর্ন্ত ব্যবধানটি ধরে রেখে সেমিতে যাওয়ার উল্লাসে মেতে ওঠে মোহামেডান।
একইদিনে বিদায় নিয়েছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডও। টাইব্রেকারে তারা তারা ৪-৩ ব্যবধানে হেরে গেছে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে। এর আগে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটি নির্ধারিত সময় পযর্ন্ত গোলশূন্য থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে ১-১ ব্যবধানে শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
ইউবি