ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

মেসিকে রাগিয়েও টিকে গেলেন আবিদাল

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০
মেসিকে রাগিয়েও টিকে গেলেন আবিদাল মেসি, আবিদাল ও বার্তমেউ/ছবি: সংগৃহীত

বার্সেলোনায় লিওনেল মেসিই সর্বেসর্বা। তার সঙ্গে ঝামেলায় জড়ালে ক্লাবে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে দলের প্রাণভোমরাকে রাগিয়েও টিকে গেলেন ক্লাবের ক্রীড়া পরিচালক এরিক আবিদাল।

নতুন এই ইস্যুর সমাধানের উদ্দেশ্যে বুধবার শুরুতে মেসির সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করেন হোসে মারিয়া বার্তমেউ। এরপর আবিদালের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন বার্সা প্রেসিডেন্ট।

প্রায় দুই ঘন্টার বৈঠক শেষে ৪০ বছর বয়সী সাবেক ফরাসি ডিফেন্ডারের চাকরি এ যাত্রায় টিকে যায়। এরইমধ্যে পরবর্তী ম্যাচের (অ্যাথলেতিক বিলবাও) জন্য দলের সঙ্গে সফর করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন আবিদাল। তবে এবার তার সঙ্গে থাকবেন ক্লাব প্রেসিডেন্টও।

সমস্যার সূত্রপাত আবিদালের এক বিতর্কিত মন্তব্য। বার্সার সাম্প্রতিক বাজে পারফরম্যান্সের কারণে আর্নেস্তো ভালভার্দেকে কিছুদিন আগে কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। সাবেক ফরাসি কিংবদন্তির মতে, ভালভার্দেকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে ফুটবলাররাই ভূমিকা রেখেছে, এমনকি তাদের আচরণ ও অখেলোয়াড়সুলভ ভাবভঙ্গিতে সন্তুষ্ট নন আবিদাল।

‘দিয়ারিও স্পোর্ত’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবিদাল বলেন, ‘অনেক খেলোয়াড়ই খুশি না এবং তারা কঠোর পরিশ্রমও করে না। কোচ ও ড্রেসিং রুমের পরিবেশ সবসময়ই ভালো ছিল। তবে এখানে এমন কিছু হয়েছে যা আমি একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে বুঝতে পারি। ’

আবিদালের অভিযোগে অবশ্য চুপ করে থাকেননি মেসি। আর্জেন্টাইন তারকা জানিয়ে দেন, দলের খারাপ অবস্থার জন্য শুধু খেলোয়াড় নয়, বোর্ডের কর্তারাও দায়ী।

আবিদালের কথার সমালোচনা করে মেসি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, আমার সত্যি বলতে এসব ভালো লাগে না। তবে আমি মনে করি সবাই তার কাজের প্রতি দায়িত্ববান ও সিদ্ধান্তে যত্নশীল হওয়া দরকার। মাঠে কি হচ্ছে সে ব্যাপারে ফুটবলাররা দায়বদ্ধ এবং মাঠে খারাপ খেললে আমরাই প্রথম স্বীকার করে নেই।

তিনি আরও লিখেন, একইভাবে ম্যানেজমেন্টকেও তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত হতে হবে। সবশেষে বলবো, যখন খেলোয়াড়দের নিয়ে বলা হয়, তখন তার নাম বলতে হবে। অন্যথায় সবাইকে দোষ দেওয়া হবে এবং গুজব ছড়াবে, যা সত্য না।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।