বিশ্ব ফুটবলে পরিশ্রমী খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত মেসুত ওজিল। তবে ২০১৮ সালের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি) এই মিডফিল্ডারকে দোষারোপ করে।
কিন্তু দীর্ঘ দুই বছর পর ডিএফবি জানালো, ওজিলের প্রতি অবিচার হয়েছে। ইতোমধ্যে সংস্থাটি নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে।
ঘটনাটি ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের ঠিক আগে। সেসময় লন্ডনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওজিল ও তারই জার্মান দলের সতীর্থ ইলকায় গুনদোগান। এই দুই তারকা যথাক্রমে ইংল্যান্ডের ক্লাব আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটির ফুটবলার।
পরে তাদের সাক্ষাতের ছবি ভাইরাল হওয়ার পরই বিতর্কের মুখে পড়েন ওজিল। বলা হয়েছিল ওজিল ও গুনদোগান তার্কিশ বংশোদ্ভূত হওয়ায় বিশ্বজুড়ে বিতর্কিত এরদোগানকে সমর্থন দিচ্ছেন। যেখানে সেসময় এরগোদান নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন। বলা হয়েছিল নির্বাচনে জিততে এরদোগান এই ছবিটি কাজে লাগাচ্ছেন।
গুনদোগান অবশ্য সমালোচনা শুনে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি জানিয়ে দেন এটা কোনো রাজনৈতিক সাক্ষাৎ ছিল না। তবে কোনো মন্তব্য না করেই বিতর্কের মুখে পড়ে যান ওজিল।
আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একরকম বলিরপাঁঠা বানানো হয় ওজিলকে। যেখানে রাশিয়ায় গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় জার্মানিকে। আর এতে সবচেয়ে বেশি দোষারোপ করা হয় ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী এই তারকাকেই।
পরবর্তীতে অপমান আর সহ্য করতে না পেরে অবসরই নিয়ে ফেলেন ওজিল। তবে ঘোষণার সময় বোমাই ফাটান তিনি। জানান, জার্মান জাতীয় দল ও ডিএফবি তার সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ করেছে।
এরপর দুই বছর কেটে গেছে। এনিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনাও হয়েছে। অবশেষে ভুল স্বীকার করলেন ডিএফবির জেনারেল সেক্রেটারি ফ্রাইডরিখ কার্টিস।
বার্লিনে ডয়েচলান্ড স্টিফটাং ইন্টিগ্রেশন ফাউন্ডেশনে জার্মানির ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির ফ্রাইডরিখ কার্টিস বলেন, ‘ওজিলের ঘটনাটি নিয়ে চারপাশে যা হয়েছে তা সামলাতে ডিএফবি কিছু ভুল করেছে। আর ওই ছবিটা আসলে অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। সেই মুহূর্তে এত বর্ণবাদী অভিযোগের মধ্যে একটা বার খেলোয়াড়ের (ওজিল) সঙ্গে দেখা করা হয়নি আমাদের। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
এমএমএস