ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

'বন্ধু' নেইমারকে সান্ত্বনা দিলেন মেসি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৬ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২১
'বন্ধু' নেইমারকে সান্ত্বনা দিলেন মেসি

একেই বলে বন্ধুত্ব। ম্যাচের আগেই পুরনো বার্সা সতীর্থ লিওনেল মেসির বিরুদ্ধে রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন নেইমার জুনিয়র।

কিন্তু ম্যাচ শেষে দিব্যি সেই বন্ধুর কাছেই ছুটে গেলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। মেসিকে অভিনন্দন জানিয়ে জড়িয়ে ধরতে গিয়ে শিরোপা হারানোর ব্যথায় কাঁদলেনও তিনি। আর্জেন্টাইন অধিনায়কও পরম মমতায় কাঁধে হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিলেন নেইমারকে।

এবারের কোপা আমেরিকার ফাইনালটা সবদিক থেকেই আলাদা। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয়েছে বলেই শুধু নয়, আধুনিক ফুটবলের দুই মহাতারকা নেইমার ও মেসিও প্রথম বড় কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা জেতার লড়াইয়ে নেমেছিলেন। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে হারিয়ে অবশেষে সেই শিরোপা উঠেছে মেসির হাতে। তার হাত ধরেই ২৮ বছর পর শিরোপার স্বাদ পেয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। তবে মেসির স্বপ্নপূরণের রাতেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে তার কাছের বন্ধু নেইমারের।

চোটের কারণে কোপার গত আসরে খেলতে পারেননি নেইমার। সেবার তাকে ছাড়াই শিরোপা ঘরে তোলে ব্রাজিল। এবার সেই আক্ষেপ ঘুচানোর সুযোগ ছিল তার সামনে। পুরো আসরে খেলছিলেনও ভালোই। কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবলো। ফাইনালে নিষ্প্রভ রইলেন পিএসজি তারকা। পারলো না ব্রাজিলও। স্বাভাবিকভাবেই এভাবে শিরোপা হাতছাড়া হওয়ায় ভীষণ হতাশ নেইমার। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে তাই অঝোরে কাঁদলেন তিনি। তবে নিজেকে সামনে নেন দ্রুতই।

ফাইনালের মঞ্চ সবার জন্য খুশির উপলক্ষ নয়। একদিকে পরাজয়ের গ্লানি তো অন্যদিকে আনন্দ-উল্লাস। আজকের ফাইনালেও তেমনটাই দেখা গেল। নেইমাররা যখন কাঁদছেন, অন্য প্রান্তে তখন শিরোপা হাতে উল্লাসে মগ্ন মেসিরা। সতীর্থদের সঙ্গে যখন উদযাপন সঙ্গীতে ব্যস্ত মেসি, তখন তার দিকে হেঁটে আসেন নেইমার। জড়িয়ে ধরেন প্রিয় বন্ধুকে। এখানেই শেষ নয়। দুই পুরনো বন্ধুর এমন সৌহার্দ্য নজর কেড়েছে ফুটবলবিশ্বের।

তবে শিরোপা না জিতলেও একটা জায়গায় ঠিকই মেসির কীর্তিতে ভাগ বসিয়েছেন নেইমার। ফাইনাল মাঠে গড়ানোর কয়েক ঘণ্টা আগেই আয়োজক কনমেবল লিওনেল মেসি ও নেইমারকে যৌথভাবে সেরা ঘোষণা করেছে। দুজনেই পুরো আসরে অসাধারণ খেলে নিজেদের দল আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে ফাইনাল উঠতে সাহায্য করেন। মেসি ৪ গোলের পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৫ গোল। আর নেইমার ২ গোল ও ৩টি অ্যাসিস্ট করেছেন।

আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মেসি আসরে গ্রুপ পর্ব ও নকআউট পর্ব মিলিয়ে ছয় ম্যাচের সবকটিতেই খেলেছেন। এই ছয় ম্যাচের চারটিতেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। আর এক ম্যাচ কম খেলা নেইমার ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন ৩ ম্যাচে। তবে এবার টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা- দুটো সেরা পুরস্কারই উঠেছে মেসির হাতে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।