দেনিয়েল কলিন্দ্রেস ও নাবীব নেওয়াজ জীবনের দারুণ নৈপুণ্যে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে উঠেছে আবাহনী লিমিটেড।
মঙ্গলবার কমলাপুরের কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে সাইফ স্পোর্টিংকে ২-০ গোলে হারিয়েছে মারিও লেমোসের দল।
ম্যাচের শুরুতে আক্রমণে এগিয়ে ছিল সাইফ স্পোর্টিং। প্রথম মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমফন সানডে উদোহর কাট ব্যাক পেয়ে বক্সের ভেতরে অরক্ষিত থাকা মারাজ হোসেন দুর্বল শট নেন। ফলে সহজ সু্যোগ নষ্ট হয় জামাল ভূঁইয়াদের।
চতুর্দশ মিনিটে আরও একবার সুযোগ নষ্ট হয় সাইফ স্পোর্টিংয়ের। নাসিরুল ইসলামের উঁচু ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে কাট-ব্যাক করেন উদোহ, কিন্তু বক্সের ভেতরে বলের নিয়ন্ত্রণই নিতে পারেননি আসরোর গফুরোভ।
২৫তম মিনিটে কলিনদ্রেসের দারুণ ফ্রি কিকে এগিয়ে যায় আবাহনী। বক্সের বেশ বাইরে থেকে এই কোস্টারিকান ফরোয়ার্ডের ডান পায়ের ফ্রি কিক রক্ষণ দেয়ালের উপর দিয়ে জাল খুঁজে নেয়। গোলরক্ষক মিতুল হোসেন ঝাঁপিয়ে পড়লেও বলের নাগাল পাননি।
৩৮তম মিনিটে ফের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় আবাহনী। কলিনদ্রেসের ফ্রি কিকে জীবনের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি। বিরতির আগে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ভুলে বল পেয়ে মেরাজ হোসেন অপির নেওয়া শট সরাসরি ঠেকিয়ে দেন আবাহনী গোলরক্ষক মাহফুজ হাসান প্রীতম।
দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনীর আক্রমণের ধার কমলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি সাইফ স্পোর্টিংও। ৬৮তম মিনিটে উদোহর থ্রো ইনে মারাজের ফ্লিক প্রীতমের গ্লাভসে জমা হয়। ৮১তম মিনিটে কলিনদ্রেস-জীবনের দারুণ যুগলবন্দীতে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আবাহনী। কলিনদ্রেসের গোলমুখে নেওয়া ফ্রি কিক নিখুঁত টোকায় জালে জড়িয়ে দেন জীবন।
দুই আসর পর স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে উঠল আবাহনী। এর আগে সর্বশেষ ২০১৬ সালে ফাইনাল খেলেছিল আকাশী-নীলরা। গতবার বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছিল ১৯৯০ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২১
এমএইচএম