হাজার কোটি টাকায় নির্মিত বসুন্ধরা ক্রীড়া কমপ্লেক্সটি শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আসন্ন প্রিমিয়ার লিগে তারা নিজেদের হোম ম্যাচগুলো খেলবে দেশের নব নির্মিত সর্বাধুনিক বসুন্ধরা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মাঠে।
প্রথমে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কর্মকর্তাদের ভাবনায় ছিল সিলেট ও গোপালগঞ্জের কথা। এর আগে তারা একবার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামকেও করেছিল নিজেদের হোম ভেন্যু। এবারও কর্মকর্তাদের মাথায় ঢাকার বাইরে যাওয়ার নানা ভাবনা ঘুরপাক খেলেও শেষমেষ তাদের দুশ্চিন্তা মুক্ত করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।
তিনি বসুন্ধরা ক্রীড়া কমপ্লেক্সকে লিগে হোম ভেন্যু হিসাবে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রকে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীর বলেছেন, ‘এখন দেশের সর্বাধুনিক মাঠে ফুটবল লিগ খেলবে আমাদের ক্লাব । আশা করি, তাদের খেলার মান আরো বাড়বে এবং নতুন সাফল্য উপহার দিয়ে শেখ রাসেল ক্লাবকে তারা নিয়ে যাবে নতুন উচ্চতায়। ’
২০১৫ সালে সায়েম সোবহান আনভীর ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়ার পর শেখ রাসেল রানার্স-আপ হয় ২০১৫-১৬ মৌসুমে। পরের বছর মাগুরায় জেতে বঙ্গবন্ধু কাপ ফুটবলের শিরোপা। তারা এবারো ভালো মানের দেশি-বিদেশি নিয়ে দুর্দান্ত দল গড়েছে শিরোপর স্বপ্নে।
বসুন্ধরা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মাঠ এবং তার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দেখে ফুটবল লিগের ভেন্যু হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। প্রথমে সেটি ছিল কেবল বসুন্ধরা কিংসের হোম ভেন্যু। গতকাল তার সঙ্গে যোগ হয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র।
এর অনুমতি দানের জন্য শেখ রাসেলের ডিরেক্টর ইনচার্জ ইসমত জামিল আখন্দ লাভলু কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের কাছে, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বসুন্ধরা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে স্থায়ীভাবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ায় তার কাছে আমাদের ক্লাবের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এখন থেকে এই মাঠে শেখ রাসেলের প্র্যাকটিস ও খেলা দুই-ই চলবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২২
এমএমএস/আরইউ