রিচার্লিশনের জোড়া গোলে সার্বিয়াকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করেছে ব্রাজিল। কিন্তু দুর্দান্ত জয়ের মাঝেও সেলেসাও শিবিরে ভর করে দুশ্চিন্তা।
নেইমার যেদিন ছন্দে থাকেন না, সেদিনও পুরো ৯০ মিনিট খেলে থাকেন। আজ যদিও সেভাবে নিজের চেনা রূপে ছিলেন না। কিন্তু বরাবরের মতো এবারও খুব বাজেভাবে ফাউলের শিকার হন। আজকের ম্যাচ তো বটেই পুরো টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাকেই ফাউল করা হয়েছে। গোড়ালিতে অস্বস্তিবোধ করায় ম্যাচের ৮০ মিনিটে তাকে মাঠ থেকে তুলে নেন কোচ তিতে।
মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার সময় অনেকটাই বিমর্ষ ছিল নেইমারের মুখচ্ছবি। ডাগআউটে বসেই গোড়ালিতে বরফ দিতে দেখা যায় তাকে। এমনকি মুখ ঢেকে কেঁদেও ফেলেন তিনি। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ব্রাজিল ভক্তরা নিশ্চয়ই দুঃসংবাদ চাইবেন না। কেননা তাকে কেন্দ্র করেই যে হেক্সা জয়ের স্বপ্ন দেখছে সেলেসাওরা।
ব্রাজিলের দলীয় চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার বলে, 'তার (নেইমার) ডান পায়ের গোড়ালি মচকে গেছে এবং ইতিমধ্যে তা কিছুটা ফুলে গেছে। সে কেমন অনুভব করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। আমরা ইতিমধ্যে চিকিৎসা শুরু করে দিয়েছি এবং আমাদের শান্ত ও ধৈর্য্য ধরতে হবে। এটা(বিশ্বকাপ ঝুঁকিতে কিনা) বলা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। আমাদের শান্ত থাকতে হবে। '
বিশ্বকাপে আসার আগে পিএসজিতে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন নেইমার। পায়ের জাদুতে মুগ্ধ করেছেন সবাইকে। তাই বিশ্বকাপেও তাকে নিয়ে প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে। এদিকে, ২০১৪ বিশ্বকাপে ইনজুরির কারণে আসর থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল নেইমারকে। কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ভয়ংকর ফাউলের শিকার হন তিনি। যে কারণে খেলতে পারেননি জার্মানির বিপক্ষে সেমিফাইনাল।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
এএইচএস/এমএইচএম