মাদারীপুর: মাদারীপুরে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বাড়ছে। জেলা সদর হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৭৫ জন, তাদের বেশির ভাগই শিশু।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেকেই জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ শিশু। অতিরিক্ত রোগীর চাপে হাসপাতালের মেঝেতেও দেখা দিয়েছে জায়গা সংকট। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
রোগীরা জানান, রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতলে এলে সিট খালি পাওয়া যায় না, মেঝেতে থাকতে হয়। প্রতিদিনই প্রচুর রোগী আসছে জেলা সদর হাসপাতালে। যাদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ।
তারা আরও বলেন, হাসপাতালে বিছানা নেই, ফ্লোরেও জায়গা সংকট। খুবই বাজে একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে। জায়গা না পেয়ে ব্যক্তিগতভাবে চেয়ার কিনে, বসে বসে চিকিৎসা নিচ্ছি। সরকারি হাসপাতালে এটা সত্যিই কষ্টদায়ক।
হারেজ মাতুব্বর (৬০) নামে এক রোগী বলেন, ২৪ ঘণ্টায় দুটি স্যালাইন দিয়েছে। ঠাণ্ডার মধ্যে মেঝেতে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় চারদিকে দুর্গন্ধ বাড়ছে। হাসপাতালের পরিবেশ খুবই খারাপ।
মাদারীপুর সচেতন নাগরিক কমিটির (টিআইবি) সমন্বয়ক এসই জাসচু বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলা সদর হাসপাতালে ৭৫ জন ভর্তি হয়েছেন। দত সপ্তাহে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্তত ৩শ জন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর জন্য জেলা সদর হাসপাতালে আসন বরাদ্দ মাত্র ৬টি। ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ২৫০ শয্যার ভবনটি চালু করা গেলে আশাকরি এই সংকট অনেকটাই দূর হবে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স দুলালী রানী শিকদার জানান, প্রতিদিনই রোগীর চাপ বাড়ছে, হিমশিম অবস্থা। আসন সংকট থাকলেও সাধ্যমতো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের জন্য আসন বাড়ানো গেলে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি মিলবে।
মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আফরোজা বলেন, সচেতনতার অভাবেই রোগীর চাপ বাড়ছে। খাবার আগে ও পরে হাত ধোয়া এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২২
এমএমজেড