মাদারীপুর: মাদারীপুরে হস্তান্তরের সাড়ে তিনবছর পর জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আংশিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২ ফেব্রুয়ারি) সকালে আড়াইশ’ শয্যার মধ্যে মাত্র ৫০ শয্যার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খান।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র বিভাগ জানায়, জেলাবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় তিন কোটি টাকার সিটি স্ক্যান মেশিন, ডিজিটাল এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ১০টি কার্ডিয়াক মনিটরসহ কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রপাতি আনা হয় এখানে। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও রোগীদের জন্য রাখা হয়েছে লিফটের ব্যবস্থা।
এদিকে হাসপাতাল চালুর দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন এমনকি উচ্চ আদালতের মাধ্যমে চিঠি দেওয়া, কোনো কিছুই বাদ যায়নি। ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে একশ’ শয্যা থেকে আড়াইশ’ শয্যার সদর হাসপাতালের সাততলা ভবন সৈয়দারবালীতে নির্মাণের পর ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর স্বাস্থ্য বিভাগে হস্তান্তর করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। এটি চালুর জন্য সবশেষ ১৪ নভেম্বর উচ্চ আদালতের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল আশিক। এটি পূর্ণাঙ্গ চালু করা গেলে জেলার সাড়ে ১৩ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসবে বলে প্রত্যাশা জেলাবাসীর।
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মেদ খান বলেন, আড়াইশ’ শয্যা হাসপাতাল চালুর জন্য যে জনবলের দরকার, সেটা তো দূরের কথা একশ’ শয্যার হাসপাতাল চালানোর জনবলেও সংকট রয়েছে। আপাতত বিভিন্ন উপজেলার থেকে কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্স এনে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। শিগগিরই পুরোদমে চালু করার চেষ্টা চলছে।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, আমরা হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মূলত জনবল নিয়োগের জন্য কয়েকটি মন্ত্রণালয় জড়িত, তাই একটু দেরি হচ্ছে।
পর্যায়ক্রমে পুরো আড়াইশ’ শয্যা চালুর আশ্বাস দিয়ে মাদারীপুর-০২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান জানান, বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সংসদেও একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩
এসআই