লালমনিরহাট: মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় মাসজুড়ে নিখরচায় রোগী ও স্বজনদের খাবার ও পরামর্শ দেবে লালমনিরহাটের নিরাময় ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনোসিস সেন্টার।
সোমবার (৬ মার্চ) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল আলম।
জানা গেছে, আরব দেশগুলোতে পবিত্র মাহে রমজান মাসে সব পেশার মানুষ তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে রোজাদার ব্যক্তির জন্য নানা ধরনের সেবা ও পণ্য বিক্রিতে বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশে ঘটে ঠিক এর উল্টো। রমজান এলেই সব সেবা ও পণ্যের দাম বহুগুণ বেড়ে যায়। বর্তমানের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় ব্যাপক সুবিধা ও মূল্যছাড় ঘোষণা দিয়ে প্রশংসায় ভাসছে লালমনিরহাটের বেসরকারি চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নিরাময় ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনোসিস সেন্টার।
আরব দেশগুলোর আদলে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এবং রোজাদারদের সম্মানে এ ক্লিনিকে বিশেষ সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রমজান মাসে ভর্তিকৃত রোগী ও স্বজনদের সাহরি ও ইফতারে খাবার পেতে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে সাহরির খাবারের ব্যবস্থা তেমনটা নেই এ শহরে। তাই ভর্তিকৃত রোগী ও তার স্বজনদের জন্য ইফতার ও সাহরি বিনামূল্যে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এজন্য একজন বাবুর্চি নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতি রোগীর সঙ্গে তিনজন স্বজন ফ্রি খেতে পারবেন। তার জন্য কোনো বিল গুণতে হবে না। ভর্তিকৃত ছাড়াও চিকিৎসককে দেখাতে আসা বহির্বিভাগের রোগী ও স্বজন এবং গাড়ি, রিকশা, ভ্যানচালকদের জন্যও ফ্রি থাকবে ইফতার সামগ্রী।
এ ক্লিনিকে ভর্তিকৃত রোগীরা পুরো রমজান মাস জুড়ে কেবিন ও বেড ভাড়ায় পাবেন ৫০ শতাংশ ছাড়। প্রতি শনিবার ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ফি ছাড়াই অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা রোগী দেখানোর সুযোগ থাকবে। এছাড়া গরিব ও অসহায় রোগীদের জন্য বিশেষ ছাড়ে অপারেশনের ব্যবস্থাও থাকবে রমজান মাস জুড়ে।
রমজান উপলক্ষে লালমনিরহাট শহরে প্রথমবারের মতো এতো বিশাল সুবিধার ঘোষণা দেওয়ায় প্রশংসায় ভাসছে নিরাময় ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনোসিস সেন্টার কর্তৃপক্ষ। এর আগে রোজাদারদের সম্মানে কোনো প্রতিষ্ঠান এমন ঘোষণা দেয়নি জেলাজুড়ে। সোমবার (৬ মার্চ) এসব ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালানোয় ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এমন উদ্যোগকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।
নিরাময় ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনোসিস সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ক্লিনিকে দৈনিক গড়ে ২৫/৩০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। মূলত রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এবং রোজাদারদের সম্মানে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২৩
এসআই