ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে (ঢামেক) জরুরি বিভাগের চার নম্বর কক্ষটি (ইওটি) জরুরি রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানীসহ সারা দেশ থেকে আগত আহত রোগীদের ৮০ শতাংশই ওই কক্ষে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থাকে।
অথচ ওই কক্ষে প্রায় সময় দেখা যায় রোগীদের চাপে চিকিৎসকদের দাঁড়ানোর পর্যন্ত জায়গা থাকে না। একে তো রোগীদের চাপ অন্যদিকে ভিজিটরসহ হাসপাতারের কর্মীরা থাকেন সঙ্গে।
রোববার (২ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢামেকের জরুরি বিভাগের ৪ নম্বর অপারেশন থিয়েটারের সামনের কক্ষে গিয়ে দেখা যায় রোগীদের মিছিল। রোগীদের স্বজন ও প্রতি ট্রলিতে শোয়া রোগীর সঙ্গে এক-দুইজন ট্রলি বয় আছেন সেখানে। তাই এতো মানুষের চাপে ট্রলিতে সোয়া রোগীদের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ট্রলির পাশে দাঁড়াতেই কষ্ট হচ্ছে তাদের।
ওই ৪ নম্বর কক্ষে শেষের দিকে দুটি টেবিলের পাশে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক বসে থাকেন। ঠিক তার পাশেই একটি টেবিলে নার্সরা ডিউটি করেন। এছাড়া কক্ষের সামনে অবজারভেশন চারটি বেড আছে। এসব মিলিয়ে কক্ষের মাঝে অল্প জায়গা খালি থাকে।
তাই একসঙ্গে পাঁচটি ট্রলিতে রোগী যদি প্রবেশ করলে ওই রুমে আর কোনো জায়গা থাকে না।
এ বিষয়ে ঢামেকের এক কর্মকর্তা জানান, ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে আহত, বুলেট ইনজুরি, এক্সিডেন্ট অথবা নানা কারণে শরীরে ফ্র্যাকচারের রোগীদের প্রথমেই সেবা দেওয়া হয় জরুরি বিভাগের চার নম্বর রুমে। এখন রোগীর সংখ্যা দিনে দিনে অনেক বেড়ে গেছে। ওই তুলনায় জরুরি বিভাগের ওই রুমটি তুলনামূলক ছোট হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই চিন্তা ভাবনা করছে এটা কীভাবে বড় করা যায়। যদিও ওই চার নম্বর রুমে কোনো রোগীকে ভর্তি রাখা হয় না। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অন্য ওয়ার্ডে রেফার করা হয়। তবুও মাঝেমধ্যে অনেক রোগীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টার অবজারভেশনে থাকতে হয়। জরুরি অস্ত্রোপচার রোগীদের স্ট্যাবল করা হয় সেখানে।
এ ব্যাপারে জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) মো. আলাউদ্দিন জানান, এখন রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। চার নম্বর রুমে প্রায় সময় রোগীর চাপ লেগেই থাকে। তবে সেটা সব সময় নয়। রোগীদের পাশাপাশি স্বজনরা সেখানে অবস্থান করে পাশাপাশি হাসপাতালে লোকজনরা তো আছেই। এই স্বল্প জায়গার বিষয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কীভাবে এই রুমটি বড় করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২৩
এজেডএস/এসএএইচ