ঢাকা: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট ধারা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী।
প্রতি বছর ৭ এপ্রিল পালিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেশের সব মানুষের জন্য বিনা মূল্যে বা স্বল্প মূল্যে গুণগত মানের প্রয়োজনীয় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ২০৩০ সালের মধ্যে যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. লেলিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট ধারা নির্ধারণ করা হয়নি। স্বাস্থ্য সেবার যে মূল অংশগুলো, যেমন প্রোমোটিভ হেলথ, প্রিভেন্টিভ হেলথ, কিউরেটিভ হেলথ, রিহ্যাবিলিটিটিভ হেলথ এবং পেডিয়াটিভ হেলথ। এগুলো বিভাগ অনুসারে ভাগ করে, প্রতিটা বিভাগকে স্বয়ং সম্পূর্ণ করা, সেই জন্য পরিকল্পনা করা, পরিকল্পনা অনুযায়ী জনবল তৈরি ও সমন্বয় করা প্রয়োজন। এসব বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের কোনো ধাপ নেই। ২০৩০ সালে আমরা যে সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা দিতে যাচ্ছি, সেখানে অ্যাডহক ভিত্তিতে আমরা কিছু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করি। ফলে দেখা যায় যায় যে, কিছু সূচকে আমাদের অর্জন ঘটে, কিন্তু সামগ্রিক সাফল্য আমাদের অর্জন হয় না।
তিনি আরও বলেন, আমরা করোনার সময় দেখেছি যে, হাসপাতালে কিউরেটিভ সেবা আছে, কিন্তু প্রিভেন্টিভ অর্থাৎ প্রতিরোধী যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সেটা একেবারেই নাই। তেমনি রিহ্যাবিলিটিটিভ, পুনর্বাসনমূলক বা উপশম স্বাস্থ্য সেবা, সেগুলোও কিন্তু আমাদের একেবারেই কম। সবকিছু মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা, সেটিকে বাস্তবায়নের ধাপগুলো নির্বাচন করা, ধাপগুলোকে সফল করার জন্য প্রয়োজনে সঠিক জনবল তৈরি করা। সেই অনুযায়ী কাজ অগ্রসর করা, এই ব্যাপারটি না হওয়া পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ অর্জন সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১০.০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৩
আরকেআর/এমএমজেড