ঢাকা: বেসরকারি চিকিৎসা সেবায় বেশি করে ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের ব্যবস্থা করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বুধবার (১২ এপ্রিল ) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা জানান।
জাহিদ মালিক বলেন, আমরা সন্ধ্যাকালীন স্বাস্থ্যসেবা শুরু করেছি মাত্র। বিকেল তিনটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে ইনস্টিটিউশনাল প্রাক্টিস কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে সারা বাংলাদেশে যতগুলো জেলা এবং উপজেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে সবগুলোতেই আমরা ইনস্টিটিউশনাল প্রাক্টিস নিশ্চিত করবো। এই কাজ খুব সুন্দর ভাবে শুরু হয়েছে। জনগণ সেবা পেয়ে খুশি এবং সেইসাথে চিকিৎসক নার্স তারাও খুশি সেবা দিতে পেরে। এর মাধ্যমে সেবার মান বাড়বে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় মাঝেমধ্যেই সমস্যা দেখা যায়, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটে, ভুল বোঝাবুঝির কারণে মারামারিও হয়। এসব বিশৃঙ্খলা রোধ করার জন্য এবং সেবার মান বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রায় শেষ করে ফেলেছি। আগামী সংসদে আমরা এই আইনটি পাস করার চেষ্টা করব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আমি মনে করি ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ প্রয়োজন। ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের মাধ্যমে আমরা আরও ভালোভাবে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারব। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষার অর্থ হল জনগণ চিকিৎসা নিতে যেন ভোগান্তিতে, আর্থিক কষ্টে না পরে। রাষ্ট্র যেন তাকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়। স্বাস্থ্য সেবা পেতে তাকে যেন খরচ করতে না হয়। এটাই হলো ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ। আপনারা জানেন, ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজের কাজ কিন্তু বাংলাদেশ করছে, বিশেষ করে সরকারিভাবে হচ্ছে।
ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩২ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা হাসপাতালে সামান্য কিছু সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়। জেলা পর্যায়ে এবং মেডিকেল কলেজে মূল চিকিৎসা কিন্তু ফ্রি। চিকিৎসা সংক্রান্ত সব সেবা সরকার ফ্রি দিয়ে যাচ্ছে। যেটা ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের মাধ্যমে দেওয়ার কথা। যেটা অনেকখানি হেলথ কাভারেজ বাংলাদেশ নিয়ে আসছে। শুধুমাত্র প্রাইভেট সেক্টরে যে সেবা দিয়ে থাকে, যারা সেখানে সেবা নেন তাদেরকে ব্যয় করতে হয়। সেখানে আমাদের ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের ব্যবস্থা আরও বেশি করে নিতে হবে। বেসরকারি সেক্টরের সেবার মূল্য দেওয়ার ব্যবস্থা আমাদেরকে ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের মাধ্যমে করতে হবে। করোনার সময় আমরা দেখেছি স্বাস্থ্যসেবা দিতে না পারলে দেশ থেমে যায়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বর্ধন জং রানা, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো খুরশিদ আলম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৩
আরকেআর/এমএমজেড