ঢাকা, বুধবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মানুষের ক্ষতি হয়, এমন কোনো কাজ চলতে দেব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
মানুষের ক্ষতি হয়, এমন কোনো কাজ চলতে দেব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মানুষের ক্ষতি হয়, এমন কোনো কাজ আমরা চলতে দেব না।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা কারও ক্ষতির জন্য নয়, আমরা উৎসাহ দিতে চাই।

যেন আমাদের ইন্ডাস্ট্রি বড় হয়, তাহলে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হয়, সরকার বেশি রাজস্ব আহরণ করতে পারবে। কাজ করতে গেলে কিছু সমস্যা হতেই পারে, তার সমাধানও আছে। আমাদের এতে উত্তেজিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আবোল-তাবোল কথা বলারও প্রয়োজন নেই। আমাদের উচিত সমস্যার মূলে গিয়ে সমাধান করা।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনে এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত ওষুধ ও কসমেটিক্স আইন-২০২৩: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ প্রভাব’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ওষুধ খারাপ হলে রোগী অসুস্থ হয়ে যাবে। ডাক্তার ভালো, মেশিন ভালো কিন্তু ওষুধ যেটি খাওয়ালেন সেটা খারাপ, নকল, মেয়াদোত্তীর্ণ, নিন্মমানের তাহলে রোগ সারবে না। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স তৈরি হতে থাকে। এসব দেখার দায়িত্বতো আমাদের। এজন্য প্রায় ২০টি শিল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি অনেক মেডিকেল কলেজও আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। মানুষের ক্ষতি হয় সেগুলো আমরা চলতে দেব না। দেশের লোকের ক্ষতি হয় সেগুলো যেভাবেই হোক আমরা এলাও করবো না। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নষ্ট হোক এটি আমরা চাইব না।

তিনি বলেন, কসমেটিকস মানুষের মুখে, শরীরে লাগানো হয়, বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়। কসমেটিকসে হারমফুল কোনো উপাদান থাকলে, সেগুলো ব্যবহার করে মানুষের ক্ষতি হয়। এসব ক্ষতিকর কসমেটিকস কেউ যদি দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহার করে তাহলে স্ক্রিন ক্যান্সার হতে পারে, দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহার করলে কিডনি, লিভার আক্রান্ত হয়। এ বিষয়গুলো তখন কে দেখবে। কোথাও কেউ মারা গেলে তার দায় দায়িত্ব চলে আসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপরে। সুতরাং আমরা হালকাভাবে কোনো কিছু নিতে পারব না। মানুষের ক্ষতি হয় সেসব দেখার দায়িত্ব অবশ্যই আমাদের আছে। কারও কার্যক্রম আমাদের নেওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই। আমরা নিজেরাই অনেক ব্যস্ত। প্রায় সাড়ে চার লাখ লোক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কাজ করে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আপনাদের যেন কোনো অসুবিধা না হয়। সামনে যে পার্লামেন্টারি বোর্ডের মিটিং হবে, আমাদের সভাপতিকে আমি বলতে পারি পরবর্তী মিটিংয়ে যেন আপনাদের কসমেটিক সেক্টরের প্রতিনিধি রাখা হয়। কসমেটিক সেক্টরে প্রতিনিধিদের কথাও যেন শোনা হয়।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফলিত রসায়ন ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মো. নুরনবী।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ, বিএসটিআই মহাপরিচালক মো. আবদুস সাত্তার ও নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব), বিডা, লোকমান হোসেন মিয়া।

প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিএসটিআই সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন সরকার, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ডিএমডি ও সিইও মো. হালিমুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম. এ মুবিন খান, মিল্লাত কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহফুজ জামান, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাভেদ আখতার।

সেমিনারে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি ও কসমেটিকস কোম্পানির প্রতিনিধিরা প্রস্তাবিত ওষুধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩ একত্র না পৃথকভাবে প্রণয়ন করার দাবি জানান। পাশাপাশি কোনো আইন করার আগে যেন সংশ্লিষ্ট সবা অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
আরকেআর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।