ঢাকা: ‘অ্যাফেরেসিস প্লাটিলেট’ ডেঙ্গুরোগীদের জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বিশ্ব অ্যাফেরিসিস সচেতনতা দিবসের এক আলোচনা সভায় এ কথা জানিয়েছেন বক্তারা।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ।
আমেরিকান সোসাইটি ফর এফেরেসিস প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার বিশ্ব অ্যাফেরেসিস সচেতনতা দিবস পালন করার নির্দেশনা দেয়। অ্যাফেরেসিস ডোনার এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে এ দিবসটি পালিত হয়। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হলো।
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য র্যালির উদ্বোধন করেন।
এরপর ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের ক্লাস রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ সাইফুল ইসলাম শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতিটি দিবসের উদ্দেশ্য থাকে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৮ অক্টোবর ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ উদ্বোধন করেছিলেন। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ও রোগীদের জীবন বাঁচাতে রক্তের বিরাট অবদান রয়েছে। সে কারণেই বঙ্গবন্ধু জনসাধারণের রক্তদানে যেমন এগিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন, একই সঙ্গে রক্ত নিয়ে গবেষণার প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করেছিলেন।
উপাচার্য তার বক্তব্যে মানুষকে স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, রক্তদানে কোনো ক্ষতি নেই বরং রক্তদানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তবে রক্তদানের ক্ষেত্রে নিরাপদ রক্ত সঞ্চালনের বিষয়টি মনে রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ রক্তদানের আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে।
সভায় অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, এ বিভাগে আরও অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা সংযোজন করা হচ্ছে। ফলে রক্তরোগে আক্রান্ত কোনো রোগীকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. আয়েশা খাতুন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আতিয়ার রহমান, সহকারী অধ্যাপক ডা. সোনিয়া শারমিন, গবেষণা সহকারী ডা. খান আনিসুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডা. ফিরোজা বেগম, ডা. সুর্বণা সাহা, ব্লাড প্রোগ্রাম অফিসার ডা. নাদিয়া শারমিন তৃষা, কাউন্সিলর ও মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক সুব্রত বিশ্বাস, চিফ রেসিডেন্ট ডা. খাদিজাতুল কোবরা, সিনিয়র রেসিডেন্ট ডা. মেহেদী হাসান, ডা. রনি রায় প্রমুখ।
এছাড়া সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের কর্মকর্তা, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩
আরকেআর/আরআইএস