ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মাগুরা হাসপাতালে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত শিশু রোগী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৩
মাগুরা হাসপাতালে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত শিশু রোগী

মাগুরা: শীতের মৌসুমের শুরুতেই মাগুরায় বেড়েছে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত অসুখ নিউমোনিয়া ও ডায়ারিয়া প্রকোপ। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে শয্যার সংখ্যা মাত্র ২০টি।

কিন্তু প্রতিদিন এই দুইটি অসুখে আক্রান্ত হয়ে গড়ে ২০-২৫ শিশু রোগী শিশু ওয়ার্ডে আসছে।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫৫টি শিশু রোগী শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।  

ফলে নির্ধারিত শয্যায় জায়গা না হওয়ায় অনেক শিশুকেই আশ্রয় নিতে হচ্ছে মেঝে ও বারান্দায়।

মাগুরা ২৫০ সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ঠাণ্ডা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক শিশু গাদাগাদি করে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। এমনকি এক বেডে দুইজন শুয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।

আলোকদিয়া গ্রামে থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসা নিতে আশা সীমা বেগম নামে এক নারী বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে চারদিন হলো। চিকিৎসাধীন এসে চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে সব ধরনের ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি কিছু ওষুধের ব্যবস্থা করে দিলে আমাদের উপকার হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, নামে ২৫০ শয্যা হাসপাতাল হলেও সেটা এখনও  খাতা-কলমে রয়েছে। শিশু ওয়ার্ডে শিশু রোগীর জন্য চিকিৎসাধীন তিনজন। ০১ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত শিশু ওয়ার্ডে ঠাণ্ডা ও ডায়ারিয়া আক্রান্ত হয়ে দুইজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের শিশু ডা. তানভির রহমান বলেন, এখন শীতের শুরুতে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ বেশি দেখা দিচ্ছে। তবে সারা বছর কম বেশি এই দেখা যায়। তবে এই শীতের শুরুতে কুয়া যখন পড়ে অনেক সময় শিশুর মা সচেতন থাকেন না যে কারণে শিশু ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্তা হয়। এ সময় ধুলা বেশি হয়। যার ফলে দূরত জীবাণু এক বাচ্চা থেকে আরেক বাচ্চার মধ্যে সংক্রমিত হয়। শীতের শুরুতে বিভিন্ন জলাশয়ে পানির স্রোতে কমে যায়। ফলে জীবাণুর ধরণ পাল্টে যায়। এ কারণে শীতের শুরুতে ডায়রিয়াজনিত রোগীর সংখ্যা বেশি পাওয়া যায়। লবণ পানি স্যালাইন দিয়ে নাখ পরিষ্কার করা। খুব শ্বাসকষ্ট হলে নেবুলাইজ করা যেতে পারে। ডায়ারিয়া ক্ষেত্রে বাচ্চাকে খাবার স্যালাইন খাওয়ান এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চললে শিশুর ঠাণ্ডাজনিত রোগের হাত থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।