ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সন্তানেরা কোন ক্লাসে পড়তো কত বেতন, কিছুই জানতাম না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
সন্তানেরা কোন ক্লাসে পড়তো কত বেতন, কিছুই জানতাম না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে নিজের জীবনের নানা গল্প শোনান।  

মন্ত্রী বলেন, সবসময় রোগীদের চিকিৎসায় ও উন্নত চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকতাম।

কাজের কারণে জানতাম না, আমার ছেলে মেয়েরা কোন ক্লাসে পড়ে, তাদের কত বেতন। সত্যিই আমি কিছুই জানতাম না। এসব সামলাতেন আমার স্ত্রী রত্না সেন।  

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সহধর্মিণী রত্না সেন উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, আমি লালমনিরহাটের পাটগ্রামে গিয়েছি। সেখানে ঠোঁটকাটা, তালুকাটা রোগীদের অস্ত্রোপচার করেছি। আমি জানি, কোথায় কী কষ্ট, কোথায় কী সমস্যা। এসব সমস্যা যাতে দূর হয়, সেজন্য কাজ শুরু করছি।

তিনি বলেন, আমি যখন কাজ শুরু করলাম, বানিয়াচঙে তখন তেমন রিকশা ছিল না। রোগী দেখতে যেতাম সাইকেল চালিয়ে,  কখনো নৌকায়। আমাকে গ্রামে অনেক বাসা থেকে দাওয়াত দিত। আমিও যেতাম। আমাকে কাঁসার থালাতে মিষ্টি খেতে দিত। গ্রামে যে কত সম্মান কত ভালোবাসা, না গেলে বোঝানো যাবে না।

হাসপাতালের সাফল্য শুধু চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ সাফল্যের সঙ্গে জড়িত নার্স, ওয়ার্ড বয়, সুইপার হাসপাতালের প্রশাসন সবাই। সবাই হাসপাতালে একসঙ্গে কাজ করলেই সুনাম বাড়ে। আমার মন্ত্রিত্বের সাফল্য ডিপেন্ড করে প্রথমত আমার মন্ত্রণালয়, সচিব, ডিজি আছেন ও অন্যান্য কর্মকর্তা যারা আছেন তাদের ওপর। এ ছাড়া সবচেয়ে বড় ফোর্স হলো আমার চিকিৎসক সমাজ।

বার্ন ইনস্টিটিউট সম্পর্কে সামন্ত লাল সেন বলেন, আজ বার্ন ইনস্টিটিউটে আসার পর এক নারী চিকিৎসক (আমি তাকে মেয়ের মতো দেখি) বলেন, স্যার আপনাকে দেখি না ভালো লাগে না। আমি তাকে বলেছি, মন খারাপের কিছু নেই। প্রতি সপ্তাহে একবার করে আসব।

তিনি বলেন, এখন যেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, এখানে এক সময় টিবি হাসপাতাল ছিল। পাশে পেট্রোল পাম্প ও একটি মাজার ছিল। এগুলো সরাতে বেগ পেতে হয়েছে। হাইকোর্টে মামলাও হয়েছিল। আমি সম্ভবত ২ নম্বর আসামি ছিলাম।  

তিনি আরও বলেন, যা কিছু হচ্ছে বা হয়েছে সবকিছু প্রধানমন্ত্রীর কারণে। তার কাছে রোগীদের কল্যাণের জন্য কোনো দাবি নিয়ে গিয়েছি, তিনি সঙ্গে সঙ্গে তা অনুমোদন করেছেন।

বক্তব্যের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন মন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি ৩০ লাখ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চিকিৎসকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আসা পরিচালকেরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
এজেডএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।