ঢাকা: বেশ কিছুদিন ধরে দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ বইছে। এতে জনজীবন ওষ্ঠাগত।
বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া লোকজনকে রোদের মধ্যে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ঘরে থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এই গরমের মধ্যেও রিকশাচালক, গাড়ির চালক-হেলপার, শ্রমজীবী ও চাকরিজীবীদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে জীবিকার তাগিদে। প্রচণ্ড রোদে তাদের কাঁবু করছে পিপাসা। এজন্য অনেকে ভিড় করছেন রাস্তার পাশেরই আঁখের রস, লেবু ও বেলের শরবতসহ পানীয়ের দোকানে। যদিও এসব দোকানের শরবত বা রস স্বাস্থ্যকর নয় বলে সতর্ক করে আসছেন চিকিৎসকরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রবেশের প্রধান সড়কের পাশেই কয়েকটি শরবত দোকান রয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেখানে লোকজনের ভিড় দেখা যায়।
একটি দোকানে কথা হয় কলসুম নামে এক নারীর সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ডেমরা থেকে হাসপাতালে ভর্তি আত্মীয়কে দেখতে এসেছি। প্রচণ্ড গরমে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। যে করেই হোক তৃষ্ণা মেটাতে হবে। হাসপাতালে প্রবেশের মুখেই দেখতে পেলাম শরবতের দোকান, গরমের কারণে ভালো-মন্দ যাচাই করাও হচ্ছে না। লেবু আর ঠাণ্ডা পানি মিশ্রিত শরবত দুই গ্লাস পান করলাম। ২০ টাকা দিতে হয়েছে।
পেশাজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, পুরান ঢাকা এলাকায় ব্যবসার কাজে যাচ্ছিলাম। পথে প্রচণ্ড তৃষ্ণা পেল। দেখলাম এখানে শরবত বিক্রি করছে। তাই দুই গ্লাস খেয়ে নিলাম। আসলে প্রচণ্ড গরম থেকে কিছুটা প্রশান্তি পাওয়ার জন্য ঠাণ্ডা পানি ছাড়া আর কোনো গতি নেই।
এখানকার শরবত বিক্রেতা আনোয়ার জানান, কয়েকদিন তার শরবত বিক্রি ভালো হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে মানুষ ঠাণ্ডা পানি খেতে চায়। এই কারণে বিক্রি জমেছে।
শরবত তৈরির পানি বিশুদ্ধ কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেনা বিশুদ্ধ পানি দিয়ে শরবত বানাই।
রাস্তার শরবত-রসে ঝুঁকি
চিকিৎসকরা বলছেন, রাস্তার পাশের ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের শরবত নিরাপদ নয়। তাদের শরবতের পানি বা বরফ কোথা থেকে আসে ঠিক নেই। এ শরবত পান করে পেটের অসুখ, হেপাটাইটিস এ বা বিসহ নানা রোগ হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, তীব্র গরমে প্রচুর বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। সে পানি হতে পারে লেবু শবরত। কিংবা উচ্চরক্তচাপ না থাকলে খাবার স্যালাইনও পান করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৪
এজেডএস/এইচএ/