বাচ্চার হাসিখুশি উচ্ছল মুখ কার না ভালো লাগে। সোনামণি থাকবে প্রাণবন্ত এটাই সবার প্রত্যাশা।
বাচ্চা যেভাবে বুঝবে তার পেটে ব্যথা
আপনার বাচ্চা যদি কথা বলতে পারে তবে সে তার ব্যথার কথা প্রকাশ করতে পারবে।
গোটা পেট বা পেটের অর্ধেকের বেশি অংশজুড়ে ব্যথা থাকলে। এই ব্যথা স্টমাক ভাইরাস, বদহজম, গ্যাস, পায়খানা বন্ধ থাকলে হতে পারে। যদি পেট মোচড়ায় তবে তা গ্যাস এর জন্য হতে পারে।
পেট যদি কামড়ায় এবং হঠাৎ ব্যথা শুরু হয় এবং হঠাৎ ভালো হয়ে যায়। তারপর আবার শুরু হয়। এটাকে বলা হয় ‘ওয়েবি পেইন’। এই ব্যথা প্রায়শই মারাত্মক হয়ে থাকে।
আপনার বাচ্চা যদি অর্ধেক পেটের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যথা চিহ্নিত করে তবে তা এপেন্ডিসাইটিস, পিত্তথলীয় সমস্যা, বা পেটের আলসারজনিত সমস্যা হতে পারে। বাচ্চা কথা বলতে না পারলে তার পেটে ব্যথা আছে কি নাই তা বুঝা কষ্টকর। এক্ষেত্রে বাবা-মা হিসেবে আপনার পর্যবেক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাচ্চা যদি কান্নাকাটি করতে থাকে। যা অন্যান্য দিনের চেয়ে আলাদা।
বাচ্চা যদি পা ওপরে তুলে পেটের দিকে নিয়ে আসে।
বাচ্চার খাবারের পরিমাণ কমে গেলে।
করণীয়
ব্যথা কমানোর জন্য নিজে থেকে প্যারাসিটেমল, আইরোপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দেবেন না।
কার্বোনেটেড বেভারেজ দেবেন না।
চর্বিযুক্ত খাবার বন্ধ রাখবেন।
টমেটো, লেবুজাতীয় খাবার দেবেন না।
চকলেট ও অন্যান্য দুগ্ধজাতীয় খাবার বন্ধ রাখতে হবে।
পেট ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়
চর্বিযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার বাচ্চাকে কম খাওয়ান।
প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ পানি খাওয়ান।
অল্প পরিমাণ খাবার বার বার খাওয়ান।
প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ান।
কখন পেটে ব্যথার জন্য চিকিৎসকের কাছে যাবেন
বাচ্চার বয়স যদি তিন মাসের কম হয় ও বাচ্চার যদি ডায়রিয়া ও বমি থাকে।
বাচ্চা যদি তিন দিনের বেশি সময় পায়খানা না করে ও পেটে ব্যথা থাকে।
যদি রক্ত বমি করে ও পায়খানার সঙ্গে রক্ত যায়।
পেট শক্ত হয়ে গেলে।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেট ব্যথা না কমলে।
পেট ব্যথার সঙ্গে যদি ডায়রিয়াসহ জ্বর থাকে।
পেট ব্যথা ও শ্বাস নিতে কষ্ট হলে।
পেটে কোনো আঘাত পেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৪
এএটি