ফরিদপুর: বৃহত্তর ফরিদপুরের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। যে হাসপাতালটির পুরাতন নাম ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
এই হাসপাতালটি বৃহত্তর ফরিদপুরের মানুষের চিকিৎসার বড় মাধ্যম হলেও সম্প্রতি হাসপাতালের ভেতরে কুকুরের আনাগোনা বেড়েছে। হাসপাতালটির নিচতলাগুলোতে অবাধে কুকুর চলাফেরা করলেও কারও কোনো মাথা ব্যথা নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও যেন নির্বিকার! অথচ রোগীদের ট্রলিতে করে বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার সময় বারবার বিপাকে পড়তে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। কুকুরের ভয়ে কেউ কেউ বিকল্প স্থান ব্যবহার করছেন।
সম্প্রতি নির্মল কুমার বিশ্বাস নয়ন নামে ফরিদপুরের এক সাংবাদিক তার নিজ ফেসবুকে হাসপাতালটির অভ্যন্তরের কুকুরের উপদ্রব নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করলে তা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে তিনি ক্যাপশন দেন- ‘ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিত্র!’ কুকুরের এ ভিডিও দেখে নানা শ্রেণির মানুষ সমালোচনার ঝড় তোলেন। কেউ কেউ হাসপাতালটির পরিবেশ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
ফরিদপুরের সালথার সাজেদা আক্তার নামে এক রোগী বলেন, ‘আমরা হাসপাতালের ইমারজেন্সি ওয়ার্ড দিয়ে যাওয়ার সময় কুকুর দেখে ভয় পাই। কয়েকটি কুকুর হাসপাতালের ফ্লোরে শুয়ে আছে। তাড়ালেও সরে না। পরে অন্য পথ দিয়ে হাসপাতালটির তৃতীয় তলায় যাই আমরা। '
জেলার নগরকান্দার জান্নাতি আক্তার নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘এত বড় একটি হাসপাতাল আর সেখানে অনায়াসে কুকুর ঢুকছে, তবে কারও কোনো মাথা ব্যথা নেই! হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার ও ওয়ার্ড বয়রা বসে বসে বেতন নেন, তারা কোনো কাজ করেন না। কুকুরগুলো এই হাসপাতালটির পরিবেশ নষ্ট করছে, কাউকে কাউকে কামড়াতে যাচ্ছে। তবুও এ কুকুরগুলো তাড়াতে কিংবা হাসপাতালে না ঢুকতে দেওয়ার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো আগ্রহ নেই। '
এ ব্যাপারে হাসপাতালটির উপ-পরিচালক দীপক কুমার বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, ‘মাঝে মধ্যেই হাসপাতালের মধ্যে কুকুর ঢুকছে -এটা সত্যি। আমরাও এ কুকুর নিয়ে বিব্রত। কুকুর তো চাইলেও মারা যায় না, কারণ হাইকোর্ট থেকে নিষেধ আছে। আমরা পৌরসভাকে বিষয়টি জানিয়েছি। এছাড়া আমাদের ওয়ার্ড মাস্টারদের বলব, যাতে কুকুরগুলো হাসপাতালে না ঢুকতে পারে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২৪
এসআরএস