ঢাকা: স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন-২৪ এর খসড়ায় রেডিওলজি রিপোর্টে ‘ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহার করা যাইবে না’ এমন প্রস্তবনার বিষয়ে সংশোধনীর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সোসাইটি অব রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং (বিএসআরআই) ও বাংলাদেশ টেলিরেডিওলজি এসোসিয়েশন (বিটিএ) নামের দুটি সংগঠন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান ও সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. খলিলুর রহমান এ দাবি জানান।
এ বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪ খসড়া প্রনয়ণ উপ কমিটি আহবায়ক ও অতিরিক্ত সচিব ববাবর একটি আবেদন করা হয়েছে।
তারা বলছেন, আধুনিকায়ন চিকিৎসা ব্যবস্থায় টেলিরেডিওলজি প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল স্বাক্ষর দ্বারা রেডিওলজি রিপোর্ট প্রদান করার অনুমোদন প্রদান করা অত্যন্ত জরুরি। যা সংশোধন করা না হলে এবং এই আইন বাস্তবায়ন হলে চিকিৎসা ব্যবস্থায় এবং জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। একইসঙ্গে রোগ নির্ণয়ে রোগীর খরচ এবং সময় বৃদ্ধি পাবে এমনকি রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থায় তীব্র সংকট তৈরি হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪ খসড়ায় তৃতীয় অধ্যায় এর অনুচ্ছেদ ০৩ এ বলা হয়েছে ‘যে কোন ল্যাবরেটরি রিপোর্ট (প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ভাইরোলজি, হিস্টোপ্যাথলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ইত্যাদি) ও রেডিওলজি রিপোর্টে ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহার করা যাইবে না’। কিন্তু রেডিওলজি রিপোর্টের ক্ষেত্রে ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহার না করা তথা ব্যক্তির উপস্থিতিতে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক করা হলে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে নিরুৎসাহিত হয়। এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আধুনিক প্রযুক্তি থেকে দূরে ঠেলে দিবে।
বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই টেলিরেডিওলজির মাধ্যমে ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে রেডিওলজি রিপোর্ট ব্যবস্থপনায় বিপুল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। টেলিরেডিওলজি হচ্ছে রেডিওলজি রিপোর্ট প্রদানের সর্বোত্তম মাধ্যম যেখানে একজন রেডিওলজিস্ট অনেক প্রতিষ্ঠানের রেডিওলজিক্যাল ইমেজ কে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখুঁত ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন এবং একই সঙ্গে আরো কয়েক জন বিশেষজ্ঞ রেডিওলজিস্টের মতামত নিয়ে রিপোর্ট প্রদান করতে পারেন। তাতে রোগী এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক দ্রুত সময়ের মধ্যে রেডিওলজি রিপোর্ট পেয়ে থাকেন। তাই স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন ২০২৪ এর খসড়া আইনে সময়োপযোগী করার বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৪
আরকেআর/এমএম